রাজ্যে একজন শিশু শ্রমিক নেই, বিধানসভায় দাবি শ্রমমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বই-খেলাধুলো ছেড়ে দিয়ে পেটের তাগিদে শিশুদের কাজ করতে দেখলে উদ্বিগ্ন হয় সকলেই। দারিদ্রতা, বেঁচে থাকার লড়াই, এসব কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক শিশুকে শৈশবেই কর্মজীবনে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু রাজ্যবাসীর দৈনন্দিন জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিক সরকারি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে। যার সুফল ভোগ করছেন রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষজন। ছোট থেকে বড়, সববয়সি মানুষের সুবিধার্থে কোনও না কোনও প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের শিশু শ্রমিকদের উপর।
শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে একজন শিশু শ্রমিক নেই। এদিন অধিবেশনে বিধায়ক মধুসূদন বাগ প্রশ্ন করেন, বিগত পাঁচ বছরে রাজ্যে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কত? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশ এক্ষেত্রে কেন্দ্র কী ভাবে রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে, সেই তথ্যও তুলে ধরেন মলয়বাবু। তিনি জানান, ২০২০ সালে ১৪টি, ২০২১ সালে ছ’টি, ২০২২ সালে তিনটি, ২০২৩ সালে একটি শিশু শ্রম সংক্রান্ত অভিযোগ এসেছে। সেই সঙ্গে শ্রমদপ্তরের তরফে রাজ্যজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা হয়, ১৪ বছরের নীচে ছেলে-মেয়েদের কোথাও কাজে লাগানো হচ্ছে কি না। তবে মলয়বাবু জানান, পারিবারিক ব্যবসা, যাত্রা, থিয়েটারে ১৪ বছরের নীচের কেউ কাজ করলে তাদের শিশু শ্রমিক হিসেবে ধরা হয় না।