বঙ্গে ২০২৬শে চাই মুখ! তবে কি ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ থেকে আস্থা হারাচ্ছে BJP?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিজেপিকে ছাপিয়ে মোদী হয়ে উঠেছিলেন ব্র্যান্ড! ২০১৪, ২০১৯ একের পর এক ভোটে যেন বিজেপি নয়, জিতেছিলেন মোদী। জোট রাজনীতিকে ব্যাকফুটে ঠেলে সামনের সারিতে জায়গা করে নিয়েছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে মোদীর জনপ্রিয়তাকে মূলধন করেছে গেরুয়া শিবির। যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি ক্ষমতায় নেই, সেখানে ভোটের আগে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়নি। নির্বাচনে জেতার পর মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করেছে বিজেপি। চব্বিশের লোকসভা ভোটের পর পরিস্থিতি বদলেছে। শরিকদের কাঁধে ভর করে টিক রয়েছে সরকার। একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনেও তার প্রভাব পড়ছে। হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ভোটে সঙ্ঘের নির্দেশে
মুছে দেওয়া হয়েছিল মোদীকে।
অতিথি শিল্পীর মতো মোদী গিয়েছেন, কয়েকটি সভা করেছেন এবং ফিরে গিয়েছেন। আঞ্চলিক নেতা এবং সমস্যাকে সামনে রেখে জয় পেয়েছে বিজেপি। প্রশ্ন উঠেছে মোদী-ম্যাজিকের অস্তিত্ব নিয়ে। মোদীবিহীন ফর্মুলা কার্যকর হয়েছে মহারাষ্ট্রে, এরপরই বাংলার ক্ষেত্রে তেমনই ভাবছে গেরুয়া বাহিনী?
সূত্রের খবর, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে মোদীকে সামনে রেখে ময়দানে নামার ‘প্রথা’ ভাঙতে পারে বঙ্গ বিজেপি। তবে বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় পার্টির অনুমোদনেই তা হবে। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুঁজে বিধানসভা ভোটে নামার চেষ্টা চলছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। মুখ হিসাবে কাউকে দাঁড় করিয়ে মরিয়া ঝাঁপ দিতে চাইছে বিজেপি।
ভোটের আগেই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে দলের অন্দরে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘মুখ’ দাঁড় করাতে হলে মহিলা পদপ্রার্থীই চাই। জনপ্রিয় ও লড়াকুও হতে হবে। দলীয় চর্চায় এমন দু’জনের নাম এখনও পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছে বিজেপি। একজন বিধায়ক, অন্যজন প্রাক্তন সাংসদ। আগ বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে ঘোষণা করে দিলে তা দলের পক্ষে হিতে বিপরীত হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।