গ্রাম্য লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শিল্পীদের সংবর্ধনা জানিয়ে শেষ হল তেহট্ট লালনের নাট্য উৎসব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি শেষ হল তেহট্ট লালনের পরিচালনায় অষ্টম বর্ষের ‘এসো নাটক দেখি-২০২৪’। দু’দিন ধরে চলে এই নাট্য উৎসব। শান্তিপুর, গয়েশপুর, করিমপুর ও কৃষ্ণনগরের নাট্যদল তাদের নাটক মঞ্চস্থ করে। তেহট্ট দীনবন্ধু মিত্র মঞ্চে নাটকগুলি হয়। এই নাটকের মাঝে ছিল লালনের সদস্যদের গান ও গীতি নাট্য। দু’দিনের এই নাট্যোৎসবে প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি ছিল।
ডিসেম্বর মাসের ২৩ ও ২৪ ফের এই নাট্যোৎসব হয়। এলাকার গ্রাম্য লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শিল্পীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা জানিয়ে লালন শেষপর্বের নাট্যোৎসবের সূচনা করে। এবার ঝাঁপান শিল্পী নিতাই মণ্ডল ও গ্রামীণ যাত্রাশিল্পী বাসুদেব সাহাকে রবীন্দ্রনাথ দত্ত সম্মানে ভূষিত করা হয়। মনোজ মিত্র স্মরণে এবার মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছিল মনোজ মিত্র মঞ্চ। নাটকের সঙ্গে ছিল চিত্র প্রদর্শনী, হস্তশিল্প ও খাবারের স্টল। যা লালনের সদস্যরা তৈরি করেছিলেন। এই দু’দিনে শান্তিপুর সাংস্কৃতিক চক্রের ‘প্রমিথিউস বাউন্ড’, কৃষ্ণনগর সিঞ্চনের ‘রূপকথার বাঘ’, করিমপুর নাট্যপ্রেমীর ‘ভালোবাসা’ ও গয়েশপুর সংলাপের ‘চৈতন্য’ নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাট্যোৎসবের সূচনা করেন বিশিষ্ট নাট্যকার তথা অভিনেতা কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।