পরিবহণ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি, কোন কোন উপায়ে ২০২৫ সালে নতুন উচ্চতা ছুঁতে চলেছে বাংলা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৫ সালে বদলে যেতে পারে বঙ্গের খোলনলচে। পরিবহণ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন
সবক্ষেত্রেই আসতে পারে বিপ্লব। বছর শেষে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হতে পারে কলকাতা তথা বাংলা। পাশাপাশি মেট্রোর মাধ্যমে জুড়ে ফেলা হতে পারে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত।
এক নজরে দেখে নিন বাংলার ভোলবদলের পঞ্চরত্ন কী কী?
১) জয় হিন্দ মেট্রো:
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়া আরও সহজ হয়ে উঠবে। মেট্রো শহরবাসীকে স্বল্প খরচে এবং কম সময়ে সরাসরি বিমানবন্দরে পৌঁছে দেবে। মনে করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে জনসাধারণের জন্য এ রুট খুলে দেওয়া হতে পারে। এটিই কলকাতা মেট্রোর পঞ্চম রুট হতে চলেছে।
দুটো সাবওয়ে থাকবে। একটি যশোর রোডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে, অন্যটি বিমানবন্দরের সঙ্গে। নয়া রুট চালু হলে নোয়াপাড়া, ইয়েলো, ব্লু ও গ্রিন লাইন; তিন মেট্রো রুটের জাঙ্কশনে পরিণত হবে।
২) নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার:
নয়া বছরে বিমানবন্দর নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার পাচ্ছে। টেকনিক্যাল কমপ্লেক্স চালু করা হবে। নতুন এয়ার ট্র্যাফিক নেভিগেশন কমপ্লেক্স ২০২৫ সালের শেষের দিকে চালু হবে।
পঞ্চাশ মিটারের বেশি উচ্চতাসম্পন্ন একটি ভবন তৈরি হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরে।
যা উন্নত ও আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সেজে উঠবে। বার্ষিক ২.৬ কোটি যাত্রী থেকে বাড়িয়ে ২.৮ কোটি যাত্রী পরিবহণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে। সম্প্রসারণে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। বিদ্যমান পুরনো টাওয়ার এবং নতুন টাওয়ার একই সঙ্গে কাজ করবে। প্রায় তিন মাস পরে, তা কমপ্লেক্সে স্থানান্তরিত হবে। যা তৈরিতে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
৩) বাংলার ‘সিলিকন ভ্যালি’:
তৈরি হচ্ছে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি টেক হাব। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আদানি এন্টারপ্রাইজ, টিসিএসের মতো একাধিক সংস্থা সেখানে জমি নিয়েছে। ২০২৫ সালের শেষের দিকে সিলিকন ভ্যালি চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিউটাউনে আড়াই’শো একরের টেক হাব তৈরি হলে প্রায় এক ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ আসতে পারে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে।
৪) দীঘার জগন্নাথ মন্দির:
দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এ বছরের ৩০ এপ্রিল মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হতে পারে। এ বছর থেকে রথযাত্রা শুরু হবে সেখানে। ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২২ একর জমিতে মন্দির গড়ে উঠেছে। মন্দিরের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ ফাঁড়ি, দমকল কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।
কাঠের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ দ্বারের নাম দেওয়া হয়েছে চৈতন্যদ্বার। পুরীর মতো এই মন্দিরের শীর্ষেও পতাকা উত্তোলন করা হবে।
৫) কালীঘাট স্কাইওয়াক:
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে খুলে দেওয়া হতে পারে কালীঘাট স্কাইওয়াক। কালীঘাট স্কাইওয়াক দৈর্ঘ্যে প্রায় পাঁচশো মিটার, প্রস্থে ১০.৫ মিটার।
দুই লেনের স্কাইওয়াকে, চারটি এসক্যালেটর থাকছে। স্কাইওয়াকে থাকছে দুটি শাখা।