গৃহঋণের EMI বাবদ খরচ কম কলকাতায় বলছে রিপোর্ট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অন্যান্য শহরের তুলনায় এখনও কম কিস্তির বোঝা সামলে বাড়ি কেনা যায় কলকাতায়। সাধারণ মানুষ ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার জন্য কিস্তিতে যে টাকা মেটান, তার উপরে ভিত্তি করে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে একটি আন্তর্জাতিক আবাসন উপদেষ্টা সংস্থা। সেখানেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের গোড়া থেকে এখনও পর্যন্ত সময়ে মেটানো কিস্তির টাকা ও আয়ের নিরিখে পেশ করা হয়েছে রিপোর্টটি। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ভারতের বড় শহরগুলির মধ্যে আয়ের নিরিখে বড় অঙ্কের কিস্তির টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে মুম্বই। যে শহরগুলিতে সবচেয়ে কম অঙ্কে কিস্তির টাকা মেটানো হয়, সেই তালিকায় সবার আগে আছে আমেদাবাদ। পুনের পর সেই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। আন্তর্জাতিক আবাসন উপদেষ্টা সংস্থাটি জানিয়েছে, আয়ত্তের মধ্যে বাড়ির হিসেব কষতে একটি সূচক ব্যবহার করা হয়েছে রিপোর্টে। কলকাতায় সেই সূচক ২৪, পুনেতে ২৩, আমেদাবাদের ক্ষেত্রে তা ২০, মুম্বইয়ের সূচক ৫০, হায়দরাবাদে ৩০, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে ২৭, চেন্নাইয়ে এই সূচক ২৫—বলছে রিপোর্ট।
কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে সূচক? আবাসন উপদেষ্টা সংস্থাটি জানাচ্ছে, কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে যত টাকা আয় করেন এবং যত টাকা গৃহঋণের কিস্তি বাবদ মেটান, তার ওপরই তৈরি হয়েছে সূচক। কলকাতার সূচক ২৪ হওয়ার অর্থ, এখানকার বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ক্রেতারা গড়ে ১০০ টাকা আয় করলে, ২৪ টাকা খরচ করেন হোম লোনের ইএমআই বাবদ। রিপোর্টটিতে ধরে নেওয়া হয়েছে, ঋণের মেয়াদ ২০ বছর এবং সুদের হার সমান।
বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দামের ৮০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া গিয়েছে। আয়ের নিরিখে ইএমআই ৪০ শতাংশ হলে, তাকে মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যে বাড়ি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। তা ৫০ শতাংশ পেরিয়ে গেলে তা খরচসাপেক্ষ বাড়ি বা আয়ত্তের বাইরের বাড়ি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। রিপোর্ট আরও বলছে, ধাপে ধাপে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং গত এক বছরে গৃহ ঋণের হার স্থিতিশীল থাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কলকাতায় গত পাঁচ বছরে পরিস্থিতি যা ছিল, তার তুলনায় এখন আরও ভালো, দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।