দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদীর প্রতিশ্রুতি মতো অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হয়নি, বেকারত্বর জ্বালায় গ্রামে ফিরছে মানুষ

January 4, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে পৌঁছেও দেখা যাচ্ছে, ভারত সরকারের ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার নগণ্য। মাত্র ৪২ শতাংশ টাকা খরচ করা হয়েছে পরিকাঠামো নির্মাণে। অথচ বাজেটে বলা হয়েছিল পরিকাঠামো খাতে বিপুল বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতেই দেশজুড়ে সেতু, সড়ক, বন্দর, রেলপ্রকল্প নির্মাণের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।

তাহলে উন্নয়ন? সেই অর্থে হয়নি বললেই চলে। এর সারমর্ম একটাই, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সেভাবে হয়নি। আবার শহুরে নানাবিধ অন্য রোজগারও আশানুরূপ নয়। বিশেষ করে রিয়াল এস্টেট থমকে। উৎপাদন শিল্পের বৃদ্ধিহার হতাশাজনক। সব মিলিয়ে পরিণতি হল, কাজের সন্ধানে শহরে আসা শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে দলে দলে ফিরছে গ্রামে। কিন্তু জীবনযাপনের জন্য রোজগার তো চাই! অতএব ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ২ কোটি কর্মসংস্থানের ঢাক পিটিয়ে এসেছেন, সেই প্রচারকে পরাস্ত করে মানুষ নীরবে ফিরছে ডক্টর মনমোহন সিংয়ের ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টিতেই। মোদীর ভারতে এই প্রকল্পই যে গ্রামাঞ্চলের আশা-ভরসা।

শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। ১৯ বছর ধরে গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড হয়েই রয়ে গেল ১০০ দিনের গ্যারান্টি প্রকল্প। অক্টোবর থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। নভেম্বর মাসে এই প্রকল্পের অধীনে কাজের চাহিদা বেড়েছিল ২০২৩ সালের ওই মাসের তুলনায় ৪ শতাংশ। আর সেটাই ডিসেম্বরের নিরিখে হয়েছে ৯ শতাংশ। অর্থাৎ লাফিয়ে বাড়ছে জব কার্ডের দাবি। বাজেটের প্রাক্কালে এই রিপোর্ট অর্থমন্ত্রকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বক্তব্য ছিল একটাই—বাজেটে আগামী আর্থিক বছরের বরাদ্দ বৃদ্ধি তো করতেই হবে, চলতি আর্থিক বছরেও বাড়তি বরাদ্দ চাই। ২০২৩ সালে গোটা বছরে ৬ কোটি পরিবার ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। আর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্তই মোট সাড়ে ৫ কোটি পরিবার ১০০ দিনের কাজে জুড়ে গিয়েছে। শুধু ডিসেম্বর মাসেই আড়াই কোটি মানুষ কাজের আর্জি জানিয়েছেন। অর্থাৎ এবার অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই সাড়ে ৫ কোটি পরিবারের আবেদন করা হয়ে গিয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজে খরচ হয়ে গিয়েছে। যেভাবে আর্থিক বছরের শেষ লগ্নে দেশজুড়ে কাজের চাহিদার আবেদন জমা পড়ছে, বরাদ্দে টান পড়বেই। অর্থাৎ, বরাদ্দ বাড়ানো ছাড়া গতি নেই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী এই খাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করবেন তো?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Modi, #unemployment, #jobs, #unorganised sector

আরো দেখুন