বাংলার বাড়ি প্রকল্পে জালিয়াতি রুখতে তৎপর প্রশাসন, জারি নির্দেশিকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে বারবার। তা রুখতে পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফ থেকে জেলা প্রশাসনের জন্য পাঁচ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ক্ষেত্রে যাতে উপভোক্তাদের কোনও সমস্যা তৈরি না-হয়, তার জন্য ফের পঞ্চায়েত দপ্তর তরফে ৫ দফা গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্র না-দিলে রাজ্য সরকার যোজনার টাকা দেবে। সেইমতো রাজ্য সরকারের চলতি বাজেটে আবাসের ক্ষেত্রে বরাদ্দ রাখা হয়। ১২ লক্ষ উপভোক্তা ও তার পরিবারের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডিসেম্বর মাসে বারো লক্ষ উপভোক্তার জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযোগ আসে প্রকল্পের অর্থ গায়েবের। তার প্রেক্ষিতে, ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা গাইডলাইন পৌঁছে গিয়েছে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের কাছে। প্রথম দফায় ১২ লক্ষ উপভোক্তা ও তার পরিবারকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। পরবর্তীতে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তা এবং তার পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে অর্থ প্রদানের নির্দেশিকা:
কেমোফ্লেজ করে প্রতারণা:
সরকারি দপ্তরের আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা।
ভুয়ো অজুহাত:
উপভোক্তাকে ফোন করে বা মেসেজ পাঠিয়ে নির্দিষ্ট প্রকল্পের অনুদান অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়ে মোবাইল নম্বরটি সঠিক উপভোক্তার কি-না তা ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ওটিপি উপভোক্তার মোবাইলে পাঠানো হয়।
দ্রুততা ও বিশ্বস্ততা:
প্রতারকরা উপভোক্তার কাছে দ্রুত তাদের প্রাপ্য টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৎপরতা দেখায়। কারণ সে ক্ষেত্রে তারা উপভোক্তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুত তাদের আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় তারা উপভোক্তার থেকে প্রয়োজনীয় ওটিপি আদায় করে।
OTP সংগ্রহ:
প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ও তাদের বিশ্বাসভাজন মনে করে উপভোক্তা তাঁর মোবাইলে আসা ওটিপি প্রতারকের সঙ্গে শেয়ার করেন।
বেআইনি লেনদেন:
প্রতারিত হওয়া উপভোক্তার থেকে ওটিপি সংগ্রহ করে সেই ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারক উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে উপভোক্তা টাকা আত্মসাৎ করে নেয়।