একশো দিনের কাজ, আবাসের পর রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রেও কি মোদীর বঞ্চনার রাজনীতির শিকার বাংলা! স্বীকার খোদ কেন্দ্রের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১০০ দিনের কাজ বা আবাসের মতো রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রেও কি মোদী রাজনীতির শিকার হল বাংলা? রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগই সত্যি প্রমাণিত হল খোদ পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের কথায়। সংসদে পেট্রলিয়াম মন্ত্রক স্বীকার করেছে, রাজ্য সরকারকে বাদ রেখে কমিটি গঠন হয়েছিল বাংলায়। বাংলার প্রশাসন উজ্জ্বলা যোজনার পরবর্তী পর্যায়ে বাধা দিয়েছে বলে যে অভিযোগ মোদী করে গিয়েছেন, তা খারিজ করেছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য।
২০২৩-র সেপ্টেম্বরে কেন্দ্র ঘোষণা করে, দেশে নতুন করে ৭৫ লক্ষ পরিবারকে বিনা পয়সায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। পড়ে বাংলা থেকেও প্রচুর আবেদন জমা। এই দফার উজ্জ্বলা বিতরণে নয়া শর্ত রাখা হয়েছিল, প্রতি জেলায় একটি করে ‘উজ্জ্বলা কমিটি’ গঠন করতে হবে। খাদ্যদপ্তরের জেলা আধিকারিকরা কমিটির শীর্ষে থাকবেন। গ্যাস বা তেল সংস্থার কর্তাদের পাশাপাশি সমাজের ‘গণ্যমান্যদের’ কমিটিতে রাখার কথা বলা হয়। গ্যাস কারা পাবেন বা কারা পাওয়ার যোগ্য নন, তা ঠিক করবে ওই কমিটি। রাজ্যের দাবি, কেবল সই করার জন্যেই কমিটিতে রাজ্যের প্রতিনিধিদের রাখা হয়। মূল নিয়ন্ত্রণ ‘গণ্যমান্যদের’ হাতে, যাঁরা কেন্দ্রের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, তাঁরাই সব। এতেই বেঁকে বসে রাজ্য। কার্যত এর জেরেই পশ্চিমবঙ্গে উজ্জ্বলার কাজ থমকে যায় বলে অভিযোগ।
পেট্রলিয়াম মন্ত্রক সংসদে জানিয়েছে, উজ্জ্বলা কমিটি গড়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর। ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও জেলাতেই কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়নি। বাধ্য হয়ে ২৯ জানুয়ারি নতুন নির্দেশিকা জারি করে ভারত সরকার, সেখানে বলা হয়, রাজ্যের প্রতিনিধি না রেখেই জেলায় জেলায় উজ্জ্বলা কমিটি গঠন করতে হবে। সেই নির্দেশ যায় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির কাছে। আশ্চর্যের বিষয়, ওই দফায় ২০২৪ সালের জুলাইতে উজ্জ্বলার ৭৫ লক্ষ গ্যাস সংযোগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময় মেলার পর কেন কেন্দ্র বাংলায় একটিও গ্যাস সংযোগ দিতে পারল না?