মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ড্র মোহনবাগানের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আইএসএল লিগ শিল্ড ইতিমধ্যেই কব্জায় চলে এসেছে। কিন্তু আজ ছিল মুম্বই সিটি এফসির ঘরের মাঠে সম্মান রক্ষার লড়াই। তবে জয় অধরা থাকল মোহনবাগানের। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও হল না শেষরক্ষা। ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে।
অ্যাওয়ে ম্যাচে মুম্বইকে হারাতে পারল না মোলিনা ব্রিগেড। প্রায় ২০ মিনিট মুম্বইকে ১০ জনে পেয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। তা সত্ত্বেও মুম্বই এরিনায় ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। এই ড্রয়ের ফলে মোহনবাগানের হয়তো বিশেষ কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু সবুজ-মেরুন শিবির মুম্বইকে হারাতে না পারায় চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের।
এদিন প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে গেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মুম্বইয়ের ঘরের মাটিতেও মোহনবাগান প্রথমার্ধ দাপিয়ে খেলে। জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস গোল করেন প্রথমার্ধে। এই ম্যাচে মোলিনা তিন বিদেশিকে প্রথম একাদশে রেখে শুরু করেছিলেন। তাতেও মোহনবাগানের খেলার ছন্দ বাধা পায়নি। গ্রেগ স্টুয়ার্ট রিজার্ভে থাকলেও এদিন শুরু থেকে ভালো ফুটবল খেলেন পেত্রাতোস, মনবীর, লিস্টনরা।
ম্যাচের ৩২ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। জেমি ম্যাকলারেন গোল করে এগিয়ে দেন বাগানকে। দ্বিতীয় গোল পেতেও খুব বেশি দেরি হয়নি বাগানের। বাম প্রান্তে লিস্টন বল পেয়ে পাস বাড়ান পেত্রাতোসকে লক্ষ্যে করে। মুম্বই গোলরক্ষক প্রথম সুযোগে শট বাঁচিয়ে নিলেও তা চলে আসে পেত্রাতোসের পায়ে। গোল করতে কোনও ভুল করেননি গত ম্যাচে বাগানকে আইএসএল শিল্ড জেতানো পেত্রাতোস। প্রথমার্ধে ২-০ স্কোরলাইন রেখেই লেমন ব্রেকে যায় দুই দল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা কিছুটা বদলায়। মুম্বইকে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখাচ্ছিল। আক্রমণও উঠে আসছিল ঘনঘন। একাধিকবার চাপে পড়তে হয়েছে মোহনবাগান রক্ষণবিভাগকে। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে কর্নার থেকে একটি গোল শোধ করেন জন টোরাল। কিন্তু পরমুহূর্তেই লালকার্ড দেখতে হয় মুম্বইয়ের বিক্রম প্রতাপ সিংকে। এক জন কমে গেলেও লড়াই ছাড়েনি মুম্বই। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ৮৯ মিনিটে এসে গোল করে সমতা ফেরালেন নাথান রড্রিগেজ। এদিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের ফলে লালকার্ড দেখেন মুম্বইর বিক্রম প্রতাপ সিং।