শোভন-রত্না বিচ্ছেদ মামলা: রত্নার হুমকি কল্যাণকে! তারপর কী হল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্সের মামলা ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। আলিপুর আদালতে চলছিল শোভন-রত্না বিচ্ছেদ মামলা। রত্না আর্জি জানান, আরও কিছু সাক্ষ্য নেওয়া হোক। নিম্ন আদালত আর্জি নাকচ করতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রত্না। কলকাতা হাইকোর্টের ভরা এজলাসে কাদা ছোড়াছুড়ি নেমে এসেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের অভিযোগ, রত্না তাঁকে ‘থ্রেট’ দিচ্ছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি রত্নার বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ আনেন, রত্নার জন্যই নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদ মামলা এগোচ্ছে না। প্রভাব খাটাচ্ছেন বিধায়ক। শুনানিতে রত্না ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন কল্যাণ। এরপরই সংবাদমাধ্যমে রত্না অভিযোগ করেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে তাঁকে থ্রেট দিচ্ছে রত্না। কল্যাণের আশঙ্কা, হাইকোর্ট ছাড়া অন্য জায়গায় হলে মার খেতে পারতেন তিনি। বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্য রত্নার আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, রত্না কী কী বলেছেন, সেই রেকর্ড আনতে।
২৮ ফেব্রুয়ারি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য রত্নার কৈফিয়ত চান। ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার মধ্যে রত্নার আইনজীবীকে মক্কেলের বক্তব্য জানাতে বলা হয়। তারপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চান রত্না। ক্ষমার বয়ান হলফনামা আকারে উচ্চ আদালতে দাখিল হয়।