সংসদে ভুয়ো EPIC নিয়ে আলোচনা চাই, অন্যথায় কী? চরম হুঁশিয়ারি তৃণমূল-সহ বিরোধীদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। তৃণমূলের দাবি, এই বিষয়ে সংসদে আলোচনা করতেই হবে। মোদী সরকার জবাব না-দিলে লোকসভা-রাজ্যসভা অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা। বুধবার মোদী সরকারকে এমনই জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের হুঁশিয়ারিকে কার্যত সমর্থন করছে সব বিরোধী দল। ‘ইন্ডিয়া’র সদস্য নয়, ওড়িশার বিজু জনতা দলও (বিজেডি) এই ইস্যুতে পাশে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
রাজ্যসভায় ভুয়ো ভোটার কার্ড নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করে সরব হন আরজেডির সাংসদ মনোজ ঝা। তাঁকে সমর্থন করেন কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধবপন্থী শিবসেনা, আপ, জেএমএম, আইইউএমএল এবং বিজেডি-র ৫১ জন সাংসদ। ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে বিরোধীরা একজোট, তা সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে আলোচনা করতে হবে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রিজিজুকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত চাপ বাড়ানো হয়েছে রাজ্যসভায়। মনে করা হচ্ছে, লোকসভার ক্ষেত্রেও একই পথে এগোবে বিরোধী শিবির। সরকারকে বলা হয়েছে, হয় রাজ্যসভার রুল ২৭৬ (মুলতুবি প্রস্তাব), নয়ত রুল ১৭৬ (শর্ট ডিউরেশন ডিসকাশনে) মেনে এপিক নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিশ দিয়েছিলেন। যদিও তা গ্রাহ্য হয়নি। এবার শর্ট ডিউরেশন ডিসকাশন বা স্বল্প সময়ের বিধিতেই আলোচনা চেয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। কারণ, রুল ১৭৬ অনুযায়ী আড়াই ঘণ্টা আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে জবাবও দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ভুয়ো ভোটার কার্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল উত্তর দিতে বাধ্য থাকবেন।
এদিন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। শিক্ষা, রেল, স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বরাদ্দ একটা যাতে সুষ্ঠুভাবে আলোচনা হয়, সেই আর্জিও জানান। বিরোধীরা ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে, চার মন্ত্রকের আলোচনায় কোনও ঝামেলা হবে না। শর্ত একটাই, ভুয়ো ভোটার কার্ডের বিষয়টি আলোচনা করতে হবে। তা না-হলে সংসদ অচল করা হতে পারে।