পুরুলিয়ার হলুদ পলাশ থেকে তৈরি আবিরে দোল উৎসব পালিত হল কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দোল উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাসমেলা ময়দানে পোড়ানো হয় বুড়িরঘর। বহ্ন্যৎসবের এই প্রথায় যথারীতি উপস্থিত হয়েছিলেন রাজমাতা ও ডাঙ্গরআই মন্দিরের বিগ্রহরা। মন্দিরে সন্ধ্যারতির পর মদনমোহনকে দোলায় চাপিয়ে রাসমেলা ময়দানে নিয়ে আসা হয়। সেখানে মহা সমারোহে রাজআমলের প্রথা মেনে বুড়িরঘর পোড়ানো হয়। বিশেষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সন্ধ্যায় রাসমেলা ময়দানে বহু মানুষের ভিড় হয়।
এদিকে, দোল পূর্ণিমার পূণ্য লগ্নে আজ থেকে মদনমোহন মন্দিরে প্রণামী প্রদানের জন্য চালু হচ্ছে কিউআর কোড। ভক্তরা এখন থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করেই দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অ্যাকাউন্টে মদনমোহনের নামে প্রণামী প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও মন্দিরে যেকোনও পুজোর কুপনের টাকা, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী ধর্মশালার যেকোনও পেমেন্ট, পার্কিং চার্জ, মন্দিরের স্টল থেকে কেনাকাটার যেকোনও পেমেন্ট নির্দিষ্ট কিউআর কোডের মাধ্যমে করা যাবে। যা সরাসরি ব্যাঙ্ক তহবিলে জমা হবে।
এবছর দোলে পুরুলিয়ার বলরাম থেকে এসেছে ভেষজ আবির। কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের জন্য হলুদ পলাশের ওই আবির পৌঁছেছে। এক-দুই কেজি নয়! ৩০ কেজি আবির এসেছে। বিপুল পরিমাণ ওই আবিরই শুক্রবার মদনমোহনকে অপর্ণ করা হয়েছে। মন্দিরে রাখা ছিল আবির। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে তৈরি আরও ২০ কেজি ভেষজ আবির ছিল মন্দিরে। ভক্তরা সেই আবির মদনমোহনের পায়ে দেন। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের দু’জন কর্মী পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকে গিয়ে এই হলুদ পলাশের আবির নিয়ে এসেছেন। সেখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উদ্যোগে এই পলাশের আবির তৈরি হয়। প্যাকেটবন্দি আবির কোচবিহারে এসেছে।