কাঁথি ও এগরায় পদ্মপার্টির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকট হচ্ছে, কন্টাই কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ব্যাঙ্কের নির্বাচনে রণে ভঙ্গ দিল BJP

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কাঁথি ও এগরায় বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকট হচ্ছে। ২৯ মার্চ কন্টাই কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের নির্বাচন হবে। আসন সংখ্যা ৭৮টি। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৩৮। তৃণমূল কংগ্রেস সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপির প্রার্থী সংখ্যা ৫৩ জন। সিপিএম বেশকিছু জায়গায় প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়াও কিছু নির্দল প্রার্থী লড়াই করছেন। গত ডিসেম্বর মাসে কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বিজেপি সর্বত্র প্রার্থী দিলেও এই সমবায়ের নির্বাচনে পদ্মাপার্টির সেই লড়াকু মানসিকতা উধাও। সাংগঠনিক দুর্বলতার জেরেই এই অবস্থা বলে দলের মধ্যে গুঞ্জন ওঠেছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির মোট ৩০টি মণ্ডল কমিটি আছে। তারমধ্যে ১৬টি মণ্ডলের সভাপতি ঘোষণা হলেও ১৪টি এখনও হয়নি। জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা হলেও জেলা কমিটি গঠন করা হয়নি। সাংগঠনিক পদে কারা আসবেন এবং কারা বাদ পড়বেন, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এই অবস্থায় সমবায় ভোটে নেতা-কর্মীরা উৎসাহ হারিয়েছেন বলে নেতৃত্বের একাংশের দাবি।
পটাশপুর-১ নির্বাচনী কেন্দ্রে মোট আসন চারটি। বিজেপির প্রার্থী না থাকায় তৃণমূলের প্রত্যেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। একইভাবে পটাশপুর-২ ব্লকের সাতটি আসনে তৃণমূলের সব প্রার্থী ভোটের আগেই জয়ী হয়েছেন। ভগবানপুর-২ ব্লকে মোট আসন সাতটি। এখানে বিজেপির কোনও প্রার্থী নেই। কিন্তু, সাতটি আসনে তৃণমূলের আটজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এনিয়ে দলের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডার দাবি, গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপনকুমার দাস দলের প্যানেলের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। এজন্য তাঁকে শোকজ করা হবে। যদিও স্বপনবাবুর দাবি, সাত আসনে কারা প্রার্থী হবেন, তা আগেই দলের থেকে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সেই লিস্টে এক নম্বরে তাঁর নাম রয়েছে। দলের কোনও স্তর থেকে তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
কাঁথি-৩ নম্বর নির্বাচনী কেন্দ্র এবং ভগবানপুর-২ নির্বাচনী কেন্দ্রে মহিলা সংরক্ষিত দু’টি আসনে তৃণমূলের দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এভাবে ভোটের আগেই তৃণমূলের ১৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। রামনগর-১ নির্বাচনী কেন্দ্রে মোট আসন তিনটি। বিজেপি লড়ছে মাত্র একটি আসনে। রামনগর-২ নির্বাচনী কেন্দ্রে মোট পাঁচটি আসনের মধ্যে বিজেপির লড়ছে দু’টি আসনে। অন্যত্র তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে মুখোমুখি লড়াই হচ্ছে।