ডবল ইঞ্জিন মুম্বইতে দিগম্বর জৈন মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ BJP শাসিত BMC-র বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমলে বারবার সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে, দলিত হোক বা খ্রিস্টান, মুসলমান হোক বা আদিবাসী রেহাই পায় না কেউই। এবার মুম্বইতে জৈন মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল বিজেপি শাসিত
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। মুম্বইয়ের ভিলে পার্লেতে নেমিনাথ সমবায় আবাসন এলাকার মধ্যেই ছিল এই মন্দির। মন্দিরটি প্রায় নব্বই বছরের পুরনো।
জৈন সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের অভিযোগ, হোটেল ব্যবসায়ীদের চাপে কাম্বলিওয়াড়ির জৈন মন্দির বিএমসি ভেঙে দিয়েছে। ১৯৬০ সাল থেকে ওই স্থানে ধর্মীয় আচার পালনের কারণে আইন অনুযায়ী সেখানে তাঁদের স্বত্ত্ব তৈরি হয়। তা সত্ত্বেও বেআইনি অভিযোগ এনে, সেই চৈত্যালয় বা মন্দির ভেঙে ফেলা হল বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা। প্রতিবাদে শনিবার জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা মৌন মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান। মৌন মিছিলের অভিমুখ ছিল আন্ধেরি ইস্টে বৃহণ্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধান দপ্তর। গোটা দেশ বিজেপির এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করছে। চাপে পড়ে ওয়ার্ড অফিসারকে বদলি করে প্রশাসন। অভিযোগ, আধিকারিকের ঘাড়ে যাবতীয় দায় চাপিয়ে নিজেদের দোষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের বক্তব্য বিজেপির সব ভক্তি হিংসাতেই আবদ্ধ। বাংলার শাসকদলের প্রশ্ন, বিজেপির নজরদারিতে যেখানে জৈন মন্দির মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হল, সেখানে কীভাবে এখনও বিজেপি নেতারা বুকে হাত রেখে দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন, যে গান ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বার্তাকে তুলে ধরে।
মন্দিরের পরিচালন সমিতির বক্তব্য, কর্পোরেশনের দাবি বিনোদনের জন্য বরাদ্দ মাঠের জমিতে এই মন্দির গড়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে পরিচালন সমিতির তরফে নিম্ন আদালতে আবেদন জানানো হয়। নিম্ন আদালত আবেদন খারিজ করলেও হাই কোর্টে আবেদন জানানোর মৌখিক অনুমতি দেয়। তার জন্য সময়ও দেয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে দেওয়া হল মন্দির। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অনিল শাহ বলেন, ‘‘কর্পোরেশনের লোকজন মূর্তির ওপর উঠে পড়ে ভাঙচুর করে। পুঁথিপত্র বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। কেবল প্রশাসনিক তৎপরতা নয়। এর পিছনে রয়েছে ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্ট করার চক্রান্ত।’’