ইদানিং কী করছেন বাংলার প্রাক্তন সাংসদেরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এক সময় তাঁরা ছিলেন সাংসদ। দেশের আইনসভায় বসে আইন তৈরি করতেন, বিতর্কে অংশ নিতেন, প্রশ্ন করতেন। অধুনা তাঁরা প্রাক্তন, কেউ হেরে গিয়েছেন, কাউকে দল পুনরায় টিকিট দেয়নি, কেউ কেউ স্বেচ্ছায় জানিয়েছেন আর ভোটের লড়াইয়ে নামবেন না। নুসরাত থেকে অধীর, মিমি থেকে মুনমুন, রূপা; ইদানিং কী করছেন বাংলার প্রাক্তন সাংসদেরা?
নুসরাত জাহান:
বসিরহাটের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান এখন রাজনীতির আঙিনা থেকে বহুদূরে। অভিনেতা তথা জীবনসঙ্গী যশের সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা গড়েছেন, তাঁদের ছবি আড়ি-র মুক্তি আসন্ন। চুটিয়ে ছবির প্রচার করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, মার্চে জনপ্রিয় গায়ক পাপনের মিউজিক ভিডিও ‘ঠুমকিয়া’-র শুটিং করেন নুসরাত। এই মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী।
মিমি চক্রবর্তী:
যাদবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিমি চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নিজেই রাজনীতি থেকে সরে এসেছিলেন। খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন তাঁর সিদ্ধান্ত। তারপর তৃণমূল আর তাঁকে টিকিট দেয়নি। সম্প্রতি তাঁর ওয়েব সিরিজ ডাইনি মুক্তি পেয়েছে। গান আর পোষ্যদের নিয়ে সময় কাটে তাঁর। সমাজ মাধ্যমে দিনযাপনের নিয়মিত আপডেট দেন মিমি।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়:
অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে আর রাজ্যসভায় পাঠায়নি বিজেপি। রাজনীতি আর রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্কটা ক্রমেই ছোট গল্পের মতো হয়ে গিয়েছে, শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না! হঠাৎ হঠাৎ করে রাজনীতির ময়দানে ধূমকেতুর মতো তাঁর আগমন ঘটে। গত আগস্টে আরজি কর আন্দোলনের পর চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনে সম্প্রতি কয়েক ঘণ্টার জন্য দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের জন্মদিনের পার্টিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
মুনমুন সেন:
বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী মুনমুন সেন এখন রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে, কোনও রাজনৈতিক মঞ্চেই দেখা যায় না তাঁকে। কয়েক মাস হল স্বামীকে হারিয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন তারকা সাংসদ। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এক ভাইরাল রিল-এ মুনমুনকে টলিপাড়ার এক অভিনেত্রীর ঘর ঘোছাতে দেখা গিয়েছিল।
অধীর চৌধুরী:
অধীর চৌধুরী সর্বক্ষণের রাজনীতিক। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর রক্ষা করতে পারেননি তিনি। চলে গিয়েছে তাঁর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদও। মাঝেমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে দেখা যায় তাঁকে। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি এখনও খুব একটা সরব নন। ওয়াকফ সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনে অশান্ত মুর্শিদাবাদেও তাঁকে তেমন একটা দেখা যায়নি।
মেয়াদ শেষ হলেই কি জনপ্রতিনিধিদের যাবতীয় দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? সমাজের জন্য কি কিছুই করার থাকে না? তাহলে কেন রাজনীতিতে আসেন তারকারা? অন্যদিকে, অধীরের মতো দীর্ঘদিনের রাজনীতিকদের কি এহেন আচরণ শোভা পায়? গঠণমূলক সমালোচনা থাকুক, তার সঙ্গে মাতৃভূমিকে রক্ষা করার তাগিদও যোগ হোক। কারণ, রাজনীতির জন্য মানুষ নয়। মানুষের জন্যেই রাজনীতি।