অমিত শাহ Vs যোগী আদিত্যনাথ, দুই হেভিয়েটের কোন্দলে BJP-তে গৃহযুদ্ধ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদীর উত্তরসূরি কে হবেন? যোগী নাকি শাহ? শোনা যাচ্ছে, বিজেপির অন্দরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে কুর্সির লড়াই নিয়ে। যোগী হিন্দুত্বের পোস্টার বয়, তিনিই মোদীর জুতোয় পা গলান, চাইছেন বিজেপির একাংশ। অন্যদিকে, শাহ দীর্ঘদিন ধরে মোদী সঙ্গে আছেন। গুজরাত থেকে নয়া দিল্লি এসেছে, তিনি আর মন্ত্রিসভার নম্বর টু হয়ে থাকতে চাইছেন না বলে শোনা যায়।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের টিকিট বন্টন ঘিরে ঠান্ডা লড়াই চলে দুই নেতার মধ্যে, যোগী চেয়েছিলেন সঙ্ঘের লোকেরা টিকিট পান। সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস থেকে আসা তৎকাল বিজেপদের টিকিট দেন অমিত শাহ। ফলে উত্তরপ্রদেশে গত লোকসভা ভোটে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০১৯ সালে ৮০টি আসনের মধ্যে ৬২টি জিতেছিল বিজেপি। তা নেমে আসে মাত্র ৩৩টি আসনে। বিজেপির মুখ পুড়েছে বারাণসী ও অযোধ্যায়। বারাণসীতে মোদীর জয়ের ব্যবধান পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি থেকে দেড় লক্ষের কাছাকাছি নেমে এসেছে। অমেঠীতে কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মা স্মৃতি ইরানিকে হারিয়েছেন তার চেয়েও বেশি ব্যবধানে। রামমন্দির যে লোকসভা কেন্দ্রের আওতায়, সেই ফৈজাবাদেই বিজেপি সমাজবাদী পার্টির কাছে হেরে যায়। বিজেপি প্রার্থীদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ কোন্দল। বিজেপির সাংসদ, বিদায়ী সাংসদরাই প্রকাশ্যে অভিযোগ এনেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অন্দরে অন্তর্ঘাত হয়েছে। এরপরই উত্তরপ্রদেশ বিজেপির অন্দরে কার্যত ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরু হয়।
চলতি বছর উত্তরপ্রদেশ সরকার কুম্ভমেলার আয়োজন করে। মেলায় অব্যবস্থা ঘিরে নাকানিচোবানি খান যোগী। বিজেপির অন্দরে শোনা যায়, এর নেপথ্যেও অন্তর্ঘাত আছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই যোগী ও শাহের কুস্তি শুরু হয়েছে। শাহ নিজের পছন্দের লোকেদের টিকিট দিতে চাইছেন, যাতে যোগীকে চাপে রাখা যায়। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, যোগী নাকি ঘনিষ্ঠবৃত্তে বলেছেন গুজরাতের কেউ উত্তরপ্রদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তা তিনি বরদাস্ত করবেন না। বিজেপির সাধের উত্তরপ্রদেশে যে আরও ডামাডোল বাঁধবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।