মুর্শিদাবাদে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন, কী বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ওয়াকফ প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদ, এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে নবাবের জেলা। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ হিংসাকে হাতিয়ার করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে, যা শুনে ভারতের আগামী প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই বলেন, বাংলা নিয়ে নির্দেশ দিলে তো অভিযোগ উঠবে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে বিচারব্যবস্থা। উল্লেখ্য, বিগত
কয়েকদিন ধরে রাজ্যপাল বনাম তামিলনাড়ু সরকার ও ওয়াকফ মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের রায় ঘিরে বিজেপি নেতা, জনপ্রতিনিধিরা বার বার অভিযোগ করেছেন। সরাসরি বিচারব্যবস্থাকে নিশানা করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।
১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আইনসভা থেকে পাশ হওয়া বিল অনন্তকাল আটকে রাখতে পারেন না রাষ্ট্রপতি। রাজ্যপালদের জন্য একই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। রাষ্ট্রপতিকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়াটা মেনে নিতে পারেননি উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, সংবিধানের ১৪২ ধারাকে বিচারব্যবস্থা পরমাণু মিসাইলের মতো ব্যবহার করছে।
পদ্ম পার্টির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করে বলেন, ‘আইন তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের কাজ হলে সংসদ বন্ধ করে দিন। এই দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধলে জন্য দায়ী থাকবেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।’ বিজেপি সাংসদ দীনেশ শর্মা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিই ‘সুপ্রিম’, তাঁকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না।’ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, প্রধান বিচারপতিই যদি দেশ চালাবেন তাহলে পার্লামেন্টের দরকার নেই। মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত হিংসার জেরে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। জবাবে গভাইয়ের বেঞ্চ বলে, “আপনারা চাইছেন আমরা যেন রাষ্ট্রপতিকে এই নিয়ে নির্দেশ দিই। কিন্তু এটা করলে তো অভিযোগ উঠবে যে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে বিচারব্যবস্থা।”