পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, দোষীদের শাস্তির দাবি মমতার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৯ জনের। মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আহত বেশ কয়েকজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রার্থনা করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই হিংসা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয় এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। হামলাকারীরা যেন কোনও ভাবেই ছাড়া না পায়।”
সূত্রের খবর অনুযায়ী, লস্কর-ই-তৈয়বা নামে একটি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেশ কয়েক জন পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল জঙ্গিরা। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলমানদের।
বেসরকারি হিসাব বলছে, পহেলগাঁও হামলায় অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পহেলগাঁওয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। অমিত শাহকে দ্রুত কাশ্মীরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। শাহ ইতিমধ্যেই শ্রীনগর পৌঁছেছেন। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ-বলছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিক বা পর্যটকদের উপর এত ভয়াবহ হামলা হয়নি। আমাদের পর্যটকদের উপর এই হামলা কাপুরুষের মতো কাজ। এই হামলাকারীরা অপরাধীরা পশু, অমানবিক। নিন্দার কোনও ভাষা নেই।” তিনিও পহেলগাঁওয়ে যাচ্ছেন।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় হত টালিগঞ্জের বাসিন্দা বিতান অধিকারী।