ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি স্বীকৃতির দাবি কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণাতেও মোদী সরকারের প্রতি আস্থা ফেরেনি। উল্টে বাড়ছে অনাস্থা। আরও সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে কৃষক আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়াতে ‘কিষান মহাপঞ্চায়েত’ ডাকল সংযুক্ত কিষান মোর্চা (এসকেএম)। সোমবার লখনউয়ের সেই মহাপঞ্চায়েতে শামিল হয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক কৃষক। সেখানে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ওঠে।
লখনউয়ের ইকো গার্ডেনে সেই মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছিল। কয়েকমাস আগেই তার দিনক্ষণ ঠিক ছিল। রবিবার দিল্লিতে আয়োজিত বৈঠকে এসকেএমের নেতারা এই মহাপঞ্চায়েত নিয়ে অনড় ছিলেন। সেইমতো এদিন এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ) নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘মনে হচ্ছে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে সরকার কৃষকদের এড়াতে চাইছে। সরকারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, কৃষক স্বার্থেই আইন বাতিল করা হয়েছে এবং আমাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাতে আমরা গ্রামে ফিরে যেতে পারি।
এদিনের মহাপঞ্চায়েতে কৃষকদের পক্ষ থেকে ছ’দফা দাবি রাখা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা। সেইসঙ্গে লখিমপুর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে ছেলের নাম জড়িয়ে পড়ায় মন্ত্রিসভা থেকে অজয় মিশ্রকে অপসারিত করা। এছাড়া রয়েছে, কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার, শহিদ কৃষকদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার প্রভৃতি। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ড থেকে কৃষকরা এদিনের সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় কিষান মঞ্চের প্রেসিডেন্ট শেখর দীক্ষিত বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন বাতিল করেছেন। কেননা ওই সমস্ত রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনা প্রবল।