উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর কান্ড ‘সুপরিকল্পিত’, রিপোর্ট সিটের
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে (Lakhimpur Kheri) ‘সুপরিকল্পিত’ ভাবেই চার কৃষক ও এক সাংবাদিককে গাড়ি চাপা দিয়ে মারা হয়েছে। স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)-এর রিপোর্টে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে (Lakhimpur Kheri) কয়েক’টি ধারা জুড়ছে। লখিমপুর খেরি নিয়ে মঙ্গলবার সিটের এই বিবৃতির পরেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘মোদীজির আবারও ক্ষমা চাওয়ার সময় এসেছে…। কিন্তু তার আগে অভিযুক্তের বাবাকে (অজয় মিশ্র) মন্ত্রী পদ থেকে সরান।’
ঘটনার প্রায় তিন মাস পর মঙ্গলবার লখিমপুর হিংসা নিয়ে বিবৃতি দেয় সিট। বলা হয়, লখিমপুরের তিকুনিয়ার হিংসা কোনও দুর্ঘটনা নয়। কারও খামখেয়ালিপনার কারণেও এই ঘটনা ঘটেনি। বরং সুপরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
লখিমপুরের এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্র। তিকুনিয়ার ঘটনার দিনই সেখানে আন্দোলনরত কৃষকরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলে গোটা ঘটনায় জড়িত। যদিও অজয় মিশ্র ছেলের জড়িত থাকার অভিযোগ মানতে চাননি। উলটে তিনি দাবি করেন, তাঁর গাড়ির চালককে পিটিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছে। এই চাপানউতোরের মধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় যোগী আদিত্যনাথকে। লখিমপুর নিয়ে তাঁর নীরবতা ভালোভাবে নেননি কৃষকরা।
সিট-এর আধিকারিকরা এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, লখিমপুরের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে একাধিক ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। তার মধ্যে ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৪, ৩২৬-এর মতো ধারাও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য সিট আদালতে আবেদনও করতে চলেছে। সেইসঙ্গে মামলায় নতুন ধারা যোগ করতে আদালতের অনুমতিও চাইবেন বিশেষ তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা।
লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চার কৃষক ও এক সাংবাদিককে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন অঙ্কিত দাস ও সুমিত জসওয়াল। তিন জনেই এখন বিচারাধীন বন্দি হিসেবে জেলে রয়েছেন।
সিট-এর প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক বিদ্যারাম দিবাকর এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, লখিমপুর খেরিতে পাঁচ জনের মৃত্যুর কারণ চালকের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা নয়। ষড়যন্ত্র করেই চাপা দেওয়া হয়েছে।