নারী নির্যাতনেও দেশের মধ্যে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার!
খুনের ঘটনায় আগে থেকেই শীর্ষে। এবার নারী নির্যাতনেও ‘ডবল ইঞ্জিন’ যোগীরাজ্য চলে এল দেশের মধ্যে এক নম্বরে। এমনকী মহিলাদের উপর গার্হস্থ্য হিংসার প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য যে মহিলাদের জন্য আদৌ সুরক্ষিত নয়, সেই রিপোর্ট দিয়েছে খোদ জাতীয় মহিলা কমিশন। ২০২১ সালে সারা দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা সাত বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ৩০ হাজার ৮৬৪টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি, ১৫ হাজার ৮২৮টি এসেছে যোগীরাজ্য থেকে। সুশাসনের নির্দশন হিসেবে উত্তরপ্রদেশকেই মডেল বানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ‘নমুনা’ তুলে ধরতে রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে ডাহা ফেল করেছে তাঁর ‘সু-রাজ’।
জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালের পর এটাই এক বছরে নারী নির্যাতনের সর্বাধিক খতিয়ান। সেবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। গোটা বছরে ৩৩ হাজার ৯০৬টি নারী নির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়েছিল। সাত বছর পর সংখ্যাটা আবার কাছাকাছি পৌঁছল। ২০২০ সালে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল ২৩ হাজার ৭২২টি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক বছরে অভিযোগের বহর ৩০ শতাংশ বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ১৩টি অভিযোগ মহিলাদের মানসিক নির্যাতন সংক্রান্ত। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গার্হস্থ্য হিংসা। এই ধরনের ৬ হাজার ৬৩৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। নথিভুক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৯টি পণের দাবিতে নির্যাতনের ঘটনাও। মুখে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগান তুললেও, মোদীর শাসনকালে মহিলারা যে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারছেন না, তার প্রমাণ এই রিপোর্ট। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত বছরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জমা হয়েছে ১ হাজার ৮১৯টি। ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টার নথিভুক্ত ঘটনা ১ হাজার ৬৭৫টি। গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিমাসে ৩ হাজার ১০০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের পর নারী নির্যাতনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজ্যে ৩ হাজার ৩৩৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তালিকায় পরবর্তী স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও বিহার।