শুরু হয়ে গেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, সাবধান থাকতে বাড়িতে রাখুন এই গ্যাজেটগুলি
Omicron এর দাপটে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ। বঙ্গে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। বেশিরভাগ করোনা রুগীর মৃদু উপসর্গ দেখা গেলেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে বাড়িতে রাখুন এই গ্যাজেটগুলি।
পালস অক্সিমিটার
করোনা সংক্রমণ হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র পালস অক্সিমিটার। কারণ করোনা রুগীর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দোকানে গিয়ে পালস অক্সিমিটার কেনার সময় দেখে নিন সেটা সঠিকভাবে কাজ করছে কি না। ৫০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা দামের মধ্যে যে কোন ওষুধের দোকানে এই যন্ত্র পেয়ে যাবেন।
রক্তচাপ মাপার যন্ত্র
বাড়িতে সব সময় একটি ডিজিটাল রক্তচাপ মাপার যন্ত্র রাখা প্রয়োজন। একটি ভালো মানের ডিজিটাল ব্লাড প্রেশার মনিটরের দাম প্রায় ৩,০০০ টাকা।
কনট্যাক্টলেস থার্মোমিটার
ইনফ্রারেডের মাধ্যমে কাজ করে কনট্যাক্টলেস থার্মোমিটার। এই যন্ত্রের মাধ্যমে কোন ব্যক্তির থেকে প্রায় ১-২ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা সম্ভব। এর ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়। স্থানীয় ওষুধের দোকানে এই ধরনের থার্মোমিটারের দাম প্রায় ১,০০০ টাকা।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট
এটি কোন গ্যাজেট না হলেও একটি টেস্ট কিট বাড়িতে রাখতে পারেন। ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দামে এই টেস্ট কিট কেনা যাবে। অনলাইনে ও স্থানীয় দোকান থেকে এই টেস্ট কিট কিনতে পারবেন।
গ্লুকোমিটার
বাড়িতে ডায়াবেটিক রুগী থাকলে রক্তে সুগারের পরিমাণ মাপার জন্য সঙ্গে রাখুন একটু গ্লুকোমিটার। ৫০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকার মধ্যে গ্লুকোমিটার পেয়ে যাবেন।
UV স্টেরিলাইজার
স্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিভাইস থেকে ভাইরাস দূরে রাখতে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন আকারে এই যন্ত্র কিনতে পারবেন। আয়তাকার এই যন্ত্রের দাম শুরু হচ্ছে ১,০০০ টাকা থেকে। আলট্রা ভালোয়েট রশ্মির মাধ্যমে এই যন্ত্র বিভিন্ন বস্তুর উপর থেকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
অক্সিজেন কনসেনট্রেটর
রুগীর শরীরে অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে ব্যবহার হয় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। স্থানীয় ওষুধের দোকানে ও অনলাইনে এই যন্ত্র কেনা যাবে। এই যন্ত্রের দাম বেশি হওয়ার কারণে কেনার আগে কোম্পানির নাম ও ওয়্যারিন্টি চালো করে যাচাই করে নিন।
SpO2 সেন্সর সহ ফিটনেস ব্যান্ড
রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপার জন্য ব্যবহার করতে পারেন একটি ফিটনেস ব্যান্ড। আজকাল প্রায় সব ফিটনেস ব্যান্ডেই SpO2 সেন্সর থাকে। এই সেন্সরের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা সম্ভব।
নেবুলাইজার
শ্বাসকষ্টের সময় নেবুলাইজার ব্যবহার করলে দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠতে থাকেন রুগী। এই কারণে এই সময় বাড়িতে একটি নেবুলাইজার রাখতে পারেন। যে কোন ওষুধের দোকানে এই যন্ত্র পেয়ে যাবেন। দাম ১,৫০০ টাকার আশেপাশে।