গঙ্গাসাগর মেলায় হঠাৎ অসুস্থ দুই পুণ্যার্থী, তড়িঘড়ি উদ্ধার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে
গঙ্গাসাগর মেলার বিধিব্যবস্থা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও শুক্রবার দুই অসুস্থ পুণ্যার্থীকে তড়িঘড়ি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে নজির গড়েছে মেলা কমিটি। মেলায় গিয়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই মহিলা পুণ্যার্থী। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে তাঁদের হেলিকপ্টারে করে ডুমুরজলায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় দু’জনকে।
গঙ্গাসাগর ভ্রমণ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আরও কিছু প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৫১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেলায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। হাজারের বেশি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। মেলায় কেউ হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়ার জন্য পরিচয় নামে কিউআর বেসড ট্র্যাকিং সিস্টেম রাখা হয়েছে। বয়স্কদের কিউআর বেসড হাতঘড়ি দেওয়া হবে যাতে হারিয়ে গেলে সহজেই তাঁদের ট্র্যাক করা যেতে পারে। তাছাড়া ই-দর্শন ও ই-স্নানের ব্যবস্থাও তো রয়েছেই।
সূত্রের খবর, মেলায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন গীতা দেবী। পাটনার বাসিন্দা। বয়স ৫৫ বছর। ভিন রাজ্য থেকে মেলা দেখতে এসেছিলেন। এ দিন সকালে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হেলিকপ্টারে চাপিয়ে ডুমুরজলা নিয়ে আসা হয়। আও এক পুণ্যার্থী স্বর্ণলতা মণ্ডলও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর বয়স ৪৫ বছর। দু’জনকেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয়।
হেলিকপ্টারে দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় ডুমরজলা। এরপর ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে গ্রিন করিডর করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোভিড বিধি মেনেই এবার গঙ্গাসাগর মেলা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুণ্যার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে বাফার জোন। সেখানে ওয়াচ টাওয়ারও রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে বা মেলা প্রাঙ্গণ অবধি যেতে না পারলে সেক্ষেত্রে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই জায়ন্ট স্ক্রিনের মাধ্যমেই দেখা যাবে গঙ্গা সাগরের মেলা ও মন্দিরের পুজো। পুণ্যার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে বা কোনওরকম শারীরিক সমস্যা হলে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।