প্রায় তিনলক্ষে পৌঁছল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
জানুয়ারির শেষেই দেশে ওমিক্রনের (Omicron) দাপট চূড়ান্ত হতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতিও সেদিকেই গড়াচ্ছে। লাগাতার বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেট। করোনার সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্য কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২০২ জন। যা আগের দিনের থেকে ২ হাজার ৩৬৯ জন বেশি। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, বাংলার পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে ভোটমুখী পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ। দেশের পটিজিভিটি রেট রাতারাতি বেড়ে হয়েছে ১৬.২৮ শতাংশ। সেটাই বেশি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৭ হাজার ৭৪৩ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে সামান্য কম। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৬ জন।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৭৭ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। লাগাতার যেভাবে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী দিনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো সংকট তৈরি হতে পারে।
পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭২১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩৩১ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৫৬ কোটি ৭৬ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০৪ জনের।