বাংলাদেশকে পর্যুদস্ত করে অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপের শেষ চারে ভারত
রবি কুমার (Ravi Kumar) নামটা মাসদেড়েক আগেও ভারতীয় ক্রিকেট কেন, বাংলা ক্রিকেট মহলও খুব একটা জানত না। শনিবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে নড়িয়ে দেওয়ার পর ভালরকম চর্চা শুরু হয়ে যায় বঙ্গ পেসারকে নিয়ে।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে বছর দশেক আগে বাংলায় চলে আসা। তারপর থেকে ক্রিকেটের জন্যই এখানে থেকে যাওয়া। নাকতলায় কাকু-কাকিমার কাছে থাকেন। হাওড়া ইউনিয়ন থেকে উঠে আসা। শোনা গেল, তখনই চোখে পড়ে যান প্রণব নন্দীর। রবির বোলিং দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, ছেলেটার প্রথম ডিভিশনে খেলা উচিত। তারপর বালিগঞ্জের হয়ে খেলা শুরু। রবিকে প্রথম ডিভিশন ক্লাব বালিগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার অমিতাভ রায়ের। গতবছরও খুব যে আহামরি বোলিং করেছিলেন সেটা নয়। তবে রবির যে গুণটা বালিগঞ্জ কর্তাদের মুগ্ধ করেছিল, তা হল শেখার ইচ্ছে।
আর এদিন রবি যে আগুনে স্পেলটা করলেন, তা বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। সাত ওভার বোলিং করে ১৪ রানে দিয়ে তিন উইকেট। রবি শুরুতেই যে ধাক্কাটা বাংলাদেশকে দিলেন, সেটা থেকে তারা বেরোতে পারেনি। মাত্র ৩৭ ওভার ১ বলে বাংলাদেশ (Bangladesh U-19) অল আউট ১১১ রানে। শেষদিকে মহম্মদ সোহরব ৩০ রানের ইনিংসটি না খেললে আরও লজ্জায় পড়তে হত বাংলাদেশকে। রবির পাশাপাশি ভিকি অস্তওয়াল দুটো উইকেট পেলেন। রান তাড়া করতে নেমে ৩০.৫ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ (India U-19) দল। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওপেনার আঙ্গরিশ এদিন করলেন ৪৪ রান। শাইক রশিদ করলেন ২৬ রান। অধিনায়ক ধূল অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে।
বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারত শুধু সেমিফাইনালে চল গেল তাই না, একইসঙ্গে দু’বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বদলটাও নেওয়া হয়ে গেল। দু’বছর আগে এই বাংলাদেশিদের কাছেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারতে হয়েছিল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। তারপর বাংলাদেশিদের উদ্ধত আচরণ এখনও অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর মনেই উজ্বল। তবে এদিন রবির ঔজ্বল্যে ম্লান হয়ে গেল বাংলাদেশ।