ওমিক্রনের আরও বেশি ছোঁয়াচে ভ্যারিয়্যান্টের খোঁজ মেলায় উদ্বেগ গবেষকদের
ওমিক্রনের (Omicron) মধ্যে দিয়েই কি শেষযাত্রা শুরু হয়েছে করোনার (Coronavirus)? তাহলে কি এবার মুক্তি মিলবে অতিমারীর হাত থেকে? এই সম্ভাবনা যখন ক্রমেই জোরদার হচ্ছে, সেই সময়ই ফের উদ্বেগ বাড়াল ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়্যান্ট। দেখা গিয়েছে, তা আগের ভ্যারিয়্যান্টের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক! এমনকী, ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও এই নতুন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হতেই পারেন কেউ।
সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরর গবেষকরা এই নয়া ভ্যারিয়্যান্টের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার পরিমাণ বুস্টার শটে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির এক তৃতীয়াংশ। এই পরিস্থিতিতে তাই ওমিক্রন আক্রান্তের শরীর নতুন এই ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের সঙ্গে লড়তে সক্ষম নাও হতে পারে। ফলে একবার ওমিক্রমে আক্রান্ত হলেও ফের ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হতে পারেন তাঁরা।
তবে এখনও এটা পরিষ্কার নয়, নতুন এই ভ্যারিয়্যান্ট আগেরটির চেয়ে বেশি ছোঁয়াচে হওয়ার পাশাপাশি বেশি বিপজ্জনক কিনা। অথবা টিকা নেওয়া থাকলে তা এই ভ্যারিয়্যান্টকে মোকাবিলা করতে পারে কিনা। কিন্তু তা জানা না গেলেও, নতুন এই ভ্যারিয়্যান্ট তথা সাব ভ্যারিয়্যান্টের আগমনের ফলে অতিমারী থেকে মুক্তির পথ যে আরও লম্বা হতে চলেছে সেব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা মোটামুটি নিশ্চিত।
এদিকে নতুন এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকে ওমিক্রন। প্লাস্টিকের উপরে অবশ্য তার থেকেও বেশি সময় বেঁচে থাকে নয়া এই স্ট্রেন। সব মিলিয়ে ৮ দিন পর্যন্ত প্লাস্টিকের উপরে বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন। যা করোনার আগের স্ট্রেনগুলির থেকে অনেকটাই বেশি। আর সেই কারণেই অনেক বেশি সংক্রামক ক্ষমতা ওমিক্রনের। এবার তার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে সাব ভ্যারিয়্যান্টের আগমনে পরিস্থিতি আরও জটিল হল।