প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করার জের, নদীয়ার ২৩ নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
সময়সীমা শেষ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্দল প্রার্থীদের ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। বলা হয়েছিল, পুরভোটে নিজেদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝাঁপাতে হবে। নচেৎ বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু দলের দেওয়া সময়সীমা শেষের পরও নদীয়ার নির্দল প্রার্থীরা সেই নির্দেশ মানেননি। যার জেরে তাঁদের উপর নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। বৃহস্পতিবার মিডিয়ার রানাঘাটে দলীয় বৈঠকে গিয়ে সেখানকার মোট ২৩ জন নির্দল প্রার্থীকে (Independent Candidates) বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়। এর মধ্যে কৃষ্ণনগর পুরসভাতেই এই সংখ্যা ১১।
রবিবার নদীয়ায় গিয়ে চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পরেরদিন, রাজ্যের চার পুরনিগমের ফলপ্রকাশে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর বিকেলে তিনি বলেন, “যাঁরা নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের আবারও বলা হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে। অন্যথায় দল থেকে বহিষ্কার করা হবে তাঁদের।” কলকাতার পর চার পুরনিগমের ভোটের ক্ষেত্রেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে দেখা দিয়েছিল অসন্তোষ। একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রী টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। আসানসোল পুরনিগমের ভোটে জয় পেয়েছেন এমনই তিন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নাজিম আখতার ও রাধা সিং। এদিকে বিধাননগরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী মমতা মণ্ডল। তিনিও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আগামী ২০৭ তারিখ রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট। তাতেও তৃণমূলের একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতা প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তাঁদের উদ্দেশেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন একাধিকবার। এবার চরম শাস্তি দেওয়া হল। কৃষ্ণনগরের ১১ জন ছাড়াও কল্যাণী, বীরনগরের একাধিক নির্দল প্রার্থী-সহ এই জেলার মোট ২৩ জনকে বহিষ্কার করল দল। এদিন রানাঘাটের আহেলিতে সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, সুখেন্দুশেখর রায়রা। বৈঠকে ছিলেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর, শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীও। আলোচনা শেষে তাঁরা এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, ”নির্দলদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তাঁদের বারবার বলা সত্ত্বেও দলীয় নির্দেশ অমান্য করেছেন। তাই আমরা বহিষ্কারের পথে হাঁটলাম।”