খুলে গেল শান্তিনিকেতনে উপাসনা গৃহ
করোনা ভাইরাসের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে খুলে গেল শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ। এদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ফের শুরু হল শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের বুধবারের মন্দির। বিশ্বভারতীর নিজস্ব ছুটি ছাড়া এই প্রথম দীর্ঘদিন বুধবারের মন্দির বন্ধ ছিল। করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে চিকিৎসক অনির্বাণ দাশগুপ্ত এদিন আচার্যের পদে আসীন ছিলেন। পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই বুধবারের মন্দির হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতীর কর্মীমণ্ডলী।

কবিগুরুর পুণ্যভূমি শান্তিনিকেতনে ১৮৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় উপাসনা গৃহ। পরবর্তীতে বিশ্বভারতীতে গ্রীষ্মের ও শারদীয়ার ছুটি ছাড়া রীতি অনুযায়ী উপাসনা গৃহে প্রতি বুধবার হয়ে এসেছে ঐতিহ্যবাহী মন্দির। কিন্তু, এবছর সেই প্রথায় বাধা পড়ে। দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৭ মার্চ বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বুধবারের মন্দির বন্ধ থাকবে। মাঝে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একা উপস্থিত থেকে উপাসনা করেছেন। ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হতেই খুলে গেল উপাসনা গৃহের দরজা। এদিন থেকে ফের শুরু হল বুধবারের মন্দির। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির জেরে এদিন উপাসনা গৃহ আসা প্রত্যেককে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। তারপর হাতে স্যানিটাইজার দেওয়ার পর উপসনা গৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
তার সঙ্গেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুরু হয় উপাসনা। এছাড়াও জমায়েত এড়াতে খুব কম সংখ্যক মানুষকে উপাসনা গৃহের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এদিন চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী বৈদিক মন্ত্রপাঠ, ব্রহ্ম উপাসনা, স্তোত্র পাঠ ও সঙ্গীতভবনের পড়ুয়াদের গানের মধ্য দিয়ে এদিনের উপাসনা হয়। গান গাওয়া ও মন্ত্রপাঠ বাদে সকলেই মুখে মাস্ক পরেছিলেন। দীর্ঘদিন পর বুধবারের মন্দির শুরু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী, অধ্যাপক ও আশ্রমিকরা।