বাণিজ্য সম্মেলনের আগেই চর্ম শিল্পের ব্র্যান্ডিং-এর পথে রাজ্য
রাজ্যের চর্মশিল্পের খ্যাতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশে। আর এই শিল্পের জন্য পৃথক ‘ব্র্যান্ডের’ কথা আগেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের চর্মশিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগল বাংলা। বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি, প্রস্তাবিত ‘ফুটওয়্যার পার্ক’ বানতলা তথ্যপ্রযুক্তি এসইজেড-এ গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা নিয়েছে রাজ্য।
এই বিষয় নিয়ে শুক্রবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং বস্ত্র শিল্প দপ্তর, পিএইচই, কেএমডিএ-সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সেই বৈঠকেই আলোচনা করা হয় চর্মশিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিয়ে। বিশেষত বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে আরও কী কী করা দরকার তা নিয়ে বিস্তারিত আলচনা হয়। মূলত জোর দেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত জল সরবারহ ও দূষণ রোধের কাজে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত জল সরবারহের জন্য বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে একটি ১৭ কিমির ‘পাইপলাইন’ পাতা হবে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারগিরি দপ্তরকে। দূষণ রোধেও নেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। রাজ্য মূলত চাইছে দূষণ রোধে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কথা বলা হচ্ছে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে।
বানতলায় ‘ফুটওয়্যার পার্ক’ গড়ে তোলার কথা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। বানতলা ফুটওয়্যার পার্কের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণের তোড়জোড় শুরু করল রাজ্য।
প্রসঙ্গত, ২০ ও ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগেই চর্মশিল্পের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ অনেকটাই সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য। সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এমপ্লয়মেন্ট কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরকে চর্মশিল্পের জন্য একটি ব্র্যান্ড তৈরির নির্দেশ দেন। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের মতামত নেওয়ার জন্য বৈঠক করেছেন। শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করা হবে।