মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যা যা করা উচিত
আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমরা শারীরিক অসুস্থতাকে যতটুকু গুরুত্ব দেই, মানসিক অসুস্থতাকে ততটা দেই না। আমরা যেন মানসিকভাবে কখনো অসুস্থ না হয়ে পড়ি, সেদিকে আমাদেরই খেয়াল রাখতে হবে।
মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য যা যা করতে হবে আমাদের:
১। বন্ধু-বান্ধব আর পরিবারের সাথে যোগাযোগে থাকুন
একজন মানসিক ডাক্তারের এক ঘণ্টার কাউন্সেলিং-এ যে উপকার হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি উপকার হয় আমাদের কাছের মানুষগুলোর একটু আন্তরিকতায়, একটু সাপোর্টে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, এই কর্পোরেট যুগেও সম্পর্কগুলো যেন হারিয়ে না যায়, অন্তত আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য।
২। একই ধরণের মানুষগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখুন
আপনি যা পছন্দ করেন, যেই মানুষটা একই রকম জিনিসে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তার সাথে যোগাযোগ রাখুন। আপনার যা করতে ভাল লাগে, তার ভিত্তিতে কিছু মানুষ নিয়ে নিয়েই একটা ক্লাব তৈরি করে ফেলতে পারেন।
৩। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করুন
আমাদের দেশে এমন অনেক সংগঠন রয়েছে যারা অনেক স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কাজ করে। চাইলেই তার মাঝে একটায় কিংবা নিজে থেকে অনেক জায়গায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা যায়। এসব কাজ করলে অনেক মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়।
৪। শখের কাজ করুন
প্রত্যেক মানুষেরই একটা করে শখ থাকা খুব দরকার। যেই মানুষগুলো শখের কাজ করতে জানে, তারা অন্যান্যদের তুলনায় ডিপ্রেশনে অনেক কম ভোগে কারণ এই শখগুলো তাকে ডিপ্রেশনে ভোগার অবসরটাই দেয় না।
৫। সক্রিয় থাকুন
মনকে কখনো অলস হয়ে থাকতে দিবেন না। সবসময়ই কাজের মাঝে থাকুন। তাহলে মন এমনিতেই ভাল থাকবে।
৬। খাদ্যাভাস ভাল রাখুন
প্রোটিন রিল্যাক্সাশনের জন্য আর ওমেগা থ্রি মস্তিষ্কের জন্য ভাল। তাই খাবারের মাঝে সবসময় ওমেগা থ্রি এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করুন। অস্বাস্থ্যকর খাবার যত সম্ভব পরিহার করুন। খাবারের মেন্যুতে প্রতিদিন নতুনত্ব রাখুন।
৭। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান
প্রতিদিন তাড়াতাড়ি করে ঘুমাতে চলে যান। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান এবং তা না হলে, দিনে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে রিল্যাক্স করুন।
৮। নতুন কিছু শিখুন
নতুন কোনো একটা কিছু করতে শিখুন। এতে করে নিজের স্কিল বাড়বে, সময় কাটবে আবার মনও ভাল থাকবে।
৯। বর্তমানে ভাল থাকুন
পুরোনো দূশ্চিন্তাগুলো বর্তমানে না করাই ভাল। এমনটা হলে ভাল হতো- তেমনটা যেহেতু হয়নি, তাই তা নিয়ে আর চিন্তা করারও দরকার নেই।