ব্যবহারকারীদের বাক স্বাধীনতায় জোর দিতে নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আনছেন এলন মাস্ক?
নতুন সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আনবেন এলন মাস্ক (Elon Musk)? রবিবার তাঁর একটি টুইটের পর থেকেই বেড়েছে জল্পনা। দু’দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়া ও তার নীতির সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন ধনকুবেরকে। কিন্তু তারপরই রবিবার মাস্ক জানিয়ে দিলেন, নতুন একটি সোশ্য়াল মিডিয়া মঞ্চ তৈরি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন তিনি।
টুইটারে (Twitter) এক ইউজার মাস্ককে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি কি নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আনতে চান যেখানে বাকস্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে? এর উত্তরে টেসলা কর্তা জানান, ”আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়টি বিবেচনা করছি।”
শুক্রবারই একটি টুইটার পোলে অংশ নেন মাস্ক। টুইটার বাকস্বাধীনতার নীতি মেনে চলে কিনা, এই বিষয়ে ‘না’ বলেই মত দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে সেটি শেয়ার করে লেখেন, ”এই ভোটের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ। সতর্ক হয়ে ভোট দিন।”
এরপরই রবিবার এলন মাস্কের এমন ঘোষণা ঘিরে চাঞ্চল্য ওয়াকিবহাল মহলে। টুইটার থেকে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে বাক স্বাধীনতা খর্ব করার। মনে করা হচ্ছে, এলন মাস্ক যদি শেষ পর্যন্ত ওই প্ল্যাটফর্মটি আনেন, সেখানে হয়তো ইউজারদের বেশি বাক স্বাধীনতা দেওয়ার দিকেই জোর দেওয়া হবে সেখানে।
সাম্প্রতিক অতীতে মূলধারার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে চ্যালেঞ্জে ফেলার চেষ্টা করতে গিয়েছে বহু প্ল্যাটফর্মকেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ কিংবা গেটর, পার্লার অথবা ভিডিও সাইট রাম্বল যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন দেখার, এলন মাস্ক যদি সত্যিই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসেন, তাহলে তা জুকারবার্গকে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক। গত বছরই জানা গিয়েছিল, তিনি আমাজনের প্রাক্তন সিইও জেফ বেজোসকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যেই মাস্ক হতে পারেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার। অর্থাৎ তাঁর সম্পদ হতে পারে ১ ট্রিলিয়ন ডলার!