রক্তাক্ত বিধানসভা, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
রক্তাক্ত বিধানসভা। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। স্বয়ং চুঁচুড়ার বিধায়ক এই অভিযোগ তোলায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন উত্তরবঙ্গে সফররত। সেখানে তাঁকে ফোন করে এই খবর জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই খবর শুনে ফিরহাদ হাকিমকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজ, সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। কিন্তু রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে বিজেপি বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারকে ওয়েলে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানতে পেরে প্রচণ্ড বিরক্ত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় থেকেই গোটা ঘটনার বিবরণ নেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ফোনে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়? বিধানসভা সূত্রে খবর, রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে অধিবেশনের শুরুতেই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা কক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে রক্ত ঝরল, নাক ফাটল, ছিঁড়ে গেল বিধায়কদের জামা, ভাঙল চশমা। এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী–সহ চার বিজেপি বিধায়ককে। বাকিরা হলেন—মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, পুরুলিয়ার বিধায়ক নরহরি মাহাতো, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ।
এদিন ঘটনার পর শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপরই পাঁচজন সাসপেন্ড হন। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা মার্শালদের মেরেছে, মহিলা পুলিশ কর্মীদের গায়ে হাত দিয়েছে। আর দেখুন বিধায়ক অসিত মজুমদারকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুন্ডাগিরি করেছে বিজেপি।’ যদিও পালটা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘স্পিকারের সামনেই আমাদের মারধর করা হয়েছে। প্রতিবাদ করে আমি সাসপেন্ড হলাম।’