ফের বিনিয়োগ জিও-য়, ১৫০ কোটি ডলার লগ্নি করবে সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড
জিও প্ল্যাটফর্মসের আরও ২.৩২ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করে ১১,৩৬৭ কোটি টাকা তুলছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এই অংশীদারিত্ব কিনছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রিলায়েন্স। এই নিয়ে গত আট সপ্তাহের মধ্যে ফেসবুক সহ ১১টি সংস্থাকে জিও প্ল্যাটফর্মসের মোট ২৪.৭০ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করার ঘোষণা করল মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি। জিও প্ল্যাটফর্মসের অংশীদারিত্ব বিক্রি করে তারা মোট ১,১৫,৬৯৩.৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চলেছে। সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড যে অর্থে জিও প্ল্যাটফর্মসের ২.৩২ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনছে, তাতে সংস্থাটির ইক্যুইটি ও বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪.৯১ লক্ষ কোটি ও ৫.১৬ লক্ষ কোটি টাকা।
রিলায়েন্স চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘বহু দশক ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে রিলায়েন্সের দীর্ঘকালীন ও কার্যকরী সম্পর্ক রয়েছে। তেল অর্থনীতি থেকে এই সম্পর্ক এখন ভারতের নতুন তেল (ডেটা-চালিত) অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার দিকে এগোচ্ছে, যা জিও প্ল্যাটফর্মসে পিআইএফ-এর লগ্নি করার মধ্যেই সুস্পষ্ট।’
অন্য দিকে, পিআইএফ গর্ভনর ইয়াসির আল-রুমায়ানের মন্তব্য, ‘ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রের রূপান্তর ঘটানোর সামনের সারিতে থাকা একটি উদ্ভাবনী ব্যবসায় লগ্নি করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল বলে আমাদের বিশ্বাস এবং সেই উন্নয়নে আমাদের প্রবেশ করার অসাধারণ একটি সুযোগ দিচ্ছে জিও প্ল্যাটফর্মস।’ তবে ভারতের বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা ও বাধ্যতামূলক সরকারি অনুমোদনের পরেই এই চুক্তি সম্পূর্ণ হবে।
এদিকে উপদেষ্টা সংস্থা বার্নস্টেইন জানিয়েছে, আর পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যাই মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও’র গ্রাহক হবেন। এক রিপোর্টে উপদেষ্টা সংস্থাটির মত, ২০২৫ সালের মধ্যে রিলায়েন্স জিও’র গ্রাহক সংখ্যা ৫০ কোটিতে পৌঁছোবে। সে ক্ষেত্রে দেশে মোবাইল পরিষেবায় বাজারের নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে উঠবে মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থাটি। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তাদের টেলিকম শাখাটির জন্য শীঘ্র আইপিও আনতে পারে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
বার্নস্টেইন বলেছে, ‘ডিসেম্বরে আমরা বলেছিলাম, ভারতের টেলিকম ক্ষেত্রে রিলায়েন্স জিও-ই নতুন রাজা।