ইসরোর উদ্যোগ, দেবস্থলের নজর পড়বে মহাকাশের ধ্বংসাবশেষে
বড় একটা ‘চোখ’ বসানো হচ্ছে দেবস্থলে। মহাকাশ থেকে আমাদের সব রকমের সম্ভাব্য বিপদ-আপদগুলির উপর সব সময় নজর রাখার জন্য। সেই সব আচমকা বিপদ, যেগুলি মুহূর্তের মধ্যে তছনছ করে দিতে পারে আমাদের যাবতীয় যোগাযোগব্যবস্থা, ইন্টারনেট, টেলিভিশন সম্প্রচার। বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সর্বাধুনিক ব্যবস্থাও। ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে মহাকাশে এমন নজরদারি এই প্রথম।
যাতে আচমকা অসম্ভব গতিবেগে আমাদের দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুগুলি (অ্যাস্টারয়েডস বা ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্টস বা এনইও’)-র খবর আমরা আগেভাগেই জানতে পারি। কোনটা আমাদের কতটা কাছে আসছে, সেগুলি চেহারায় কতটা বড় বা তা আমাদের উপর হামলে পড়বে কি না, বুঝতে পারি।
দেবস্থলের নজর কার দিকে?
দেবস্থলের ‘চোখ’-এ ধরা পড়বে মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন উপগ্রহ, মহাকাশযান বা তাদের বিভিন্ন অংশের অসংখ্য ধ্বংসাবশেষও (স্পেস ডেব্রি বা স্পেস জাঙ্ক)। নজরে থাকবে পৃথিবীর বিভিন্ন কক্ষপথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রদক্ষিণরত সেই কৃত্রিম উপগ্রহগুলিও, যেগুলি এখন অচল। মহাকাশে পাড়ি জমানোর পথে তারা যাতে আমাদের পাঠানো উপগ্রহ, মহাকাশযান বা মহাকাশচারীদের কোনও ক্ষতি না করতে পারে।
তার জন্য নৈনিতালের অদূরে দেবস্থলে বসানো হচ্ছে একটি অপটিকাল টেলিস্কোপ। নৈনিতালের ‘আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজারভেশনাল সায়েন্সেস (অ্যারিস)’-এর সঙ্গে সম্প্রতি সমঝোতাপত্র (‘মউ’) স্বাক্ষরিত হয়েছে ইসরোর। লকডাউনের সময়েই। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে।
এই প্রথম ভারত থেকেই এই সবের উপর নজর রাখতে শুরু করবে ইসরো। তার জন্য ইসরোয় ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে একটি বিশেষ বিভাগ। ‘নেত্র’।