রাজ্য জুড়ে তৈরি হচ্ছে বন্যাপ্রবণ এলাকার মানচিত্র
রাজ্যজুড়ে বন্যাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করতে চলেছে সেচ দপ্তর। বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে জেলাভিত্তিক বন্যাকবলিত এলাকার মানচিত্র তৈরি করা হবে। পুরোনো বন্যাপ্রবণ এলাকার বাইরে নতুন করে বন্যা হচ্ছে এমন এলাকার মানচিত্র তৈরি করা হবে। আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনে এই ম্যাপিং হচ্ছে। রাজ্য সেচ দপ্তরের ইনভেস্টিগেশন এবং প্ল্যানিং বিভাগকে মানচিত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন।
সেচমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের সব জেলার উপরেই বন্যাপ্রবণ এলাকা নিয়ে মানচিত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে ডাকা হয়েছে।স্যাটেলাইটে তোলা ছবির তুলনা করে মানচিত্র তৈরি করা হবে। বন্যার কারণ জানলে বন্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ সম্ভব হবে।”
রাজ্যে কয়েক দশক ধরে নদী থেকে অবৈজ্ঞানিকভাবে বালি-পাথর উত্তোলনের জেরে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। বহু জলাশয় শুকিয়েছে,বহু নদীর জলধারণ ক্ষমতা কমেছে। নদীবক্ষে নির্মাণ সামগ্রী দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকায় গভীরতা কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেও বন্যার বিপদ সংকেত দিতে হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকার মানচিত্র তৈরির সময় কমপক্ষে গত ১০০ বছরের বন্যার ইতিহাস, বৃষ্টির তারতম্য, স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ করা হবে।আন্তঃরাজ্য এবং কোন জেলায় কীভাবে বন্যা পরিস্থিতি হচ্ছে সেটিও দেখা হবে। গত এক দশকে যে অংশে কখনও বন্যা হয়নি, গত কয়েক বছরে সেখানে কেন বন্যা হচ্ছে না তা মানচিত্রে উল্লেখ করতে হবে।