বাস্তবেই ‘জাপানি টয়’ – দেশেই ‘যৌন পুতুল’ তৈরীর ভাবনা যুবকের
বর্তমান করোনা আবহে একদিকে যেমন দীর্ঘ লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয় ধ্বস নেমেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ইতিমধ্যেই ছাঁটাই হয়েছে লক্ষ লক্ষ কর্মী, সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েই তখন দেশবাসীর উদ্দেশে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘আত্মনির্ভর’ হওয়া এবং চীনা দ্রব্য বর্জন করার লক্ষ্যে নানা ধরণের ‘সেক্স টয়’ তৈরি করছে এই কোম্পানি।
‘মেড ইন চায়না’ নয়, বরং এবার থেকে এই সংস্থার সেক্স টয়ের গায়ে লেখা থাকবে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’। ‘আই এম বেশরম’ নামে এই সংস্থার মালিক রাজ আরমানি জানিয়েছেন, এবার থেকে তাঁদের কোম্পানি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা এবং পুরুষদের যৌন আকাঙ্ক্ষা মেটানোর জন্য ভারতেই তৈরি করবেন সেক্স টয়।
প্রসঙ্গত, ‘আই এম বেশরম’ সংস্থা এযাবৎকাল চিন থেকেই বিভিন্ন ধরনের সেক্স টয় আমদানি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাহিদামতো সরবরাহ করত। কিন্তু এবার মোদিজির ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার ডাক শুনে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর কোম্পানির তত্ত্বাবধানেই সেক্স টয় তৈরি করার।
পুরুষ ও নারীর হস্তমৈথুন ও স্বমেহনের জন্য প্রয়োজনীয় কৃত্রিম যৌনাঙ্গ-সহ রকমারি পণ্য সরবরাহ করবে ‘আই এম বেশরম’। একেকটা প্রোডাক্টের নামও দিয়েছেন দেশি স্টাইলে! কেমন? জানলে অবাক হবেন আপনিও! ‘সমাজ’, ‘সংস্কার’ এসব নাম দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘আই এম বেশরম’-এর মতো দ্যাটস পার্সোনাল, লাভট্রিটস, ইটস প্লেজার, সাইকার্ট-এর মতো ভারতে বিভিন্ন সেক্স টয় প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই বাজারে আসবে ‘আই এম বেশরম’ সংস্থার ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ সেক্স টয়।
‘সেক্স টয়’ এই বস্তুটি তো দূরের কথা, এমনকী এই শব্দটিও এখনও ভারতীয় সমাজ মেনে নিতে পারেনি। তাই এই দেশে আর যাই হোক, যৌনতা কিংবা ‘সেক্স টয়’ নিয়ে আলোচনা করা প্রায় নিষিদ্ধতার সমানই! উল্লেখ্য, সংস্থার কর্তার কথায়, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীনা দ্রব্য ব্যবহার করা আর ফ্রিজে গোমাংস রাখা প্রায় সমান বলে মনে হয়!”
বেশ কয়েক বছর আগে যাত্রা শুরু করে রাজ আরমানির সংস্থা ‘বেশরম’। কামসূত্রের জন্ম দেওয়া ভারতের মাটিতে আজও যৌনতা কেন যে ট্যাবু? সেকথাই ভাবায় তাঁকে। কিন্তু ভারতে যৌনতার বাজার রয়েছে। সেই কারণেই চিন থেকে সেক্স টয় আমদানি করা শুরু করেছিলেন তিনি। তবে আর নয়! ভারতেই তৈরি হবে সেক্স টয়।