প্রযুক্তি বিভাগে ফিরে যান

ফেক নিউজের সুদূরপ্রসারী ফল কি?

June 30, 2020 | 2 min read

মেসিডোনিয়ার ছোট্ট শহর ভেলেস। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই একটি শহর থেকেই সংবাদভিত্তিক প্রায় ১০০ ওয়েবসাইট প্রকাশিত হতো। ট্রাম্পপন্থী ‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়ো সংবাদ প্রচার করত এসব ওয়েবসাইট। আর সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ত এসব ভুয়ো খবর।

ওই সময় শুধু ভুয়ো খবর তৈরী করে ভেলেসের তরুণ-তরুণীরা মাসে হাজার হাজার ইউরো আয় করেছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে খুব একটা আগ্রহই ছিল না তাঁদের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভুয়ো খবরের প্রায় ১৪০টি ওয়েবসাইটের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। আর এসব ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ত ফেসবুকে। 

যত বেশী মানুষ ওই সব খবরে ক্লিক করত, তত বেশী আয় হতো ওয়েবসাইটগুলোর। কারণ ক্লিক যত বেশী, ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের পাল্লাও তেমন ভারী। মূলত এটিই ভুয়ো খবরের বাণিজ্যিক সূত্র।

ফেক নিউজের প্রভাব কতটুকু?

ফেক নিউজ সাধারণ পাঠকদের মনে কতটুকু প্রভাব ফেলে? ডার্টমাউথের প্রিন্সটন ও ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটারের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় প্রায় ২৫ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ছয় সপ্তাহ অন্তর অন্তর ভুয়ো সংবাদমাধ্যমে ঢুঁ মারতেন। তবে গবেষকেরা বলছেন, মোট পাঠকের মাত্র ১০ শতাংশ ভুয়ো সংবাদমাধ্যমগুলোতে ৬০ শতাংশ ক্লিক করেছেন। অর্থাৎ, ভুয়ো সংবাদের গ্রাহক মোটের ওপর বেশী নয়।

ভবিষ্যত কি?

ভাগ্য ভালো হলে ভবিষ্যতে হয়তো ‘ফেক নিউজ’ বিষয়টিকে ২০১৭ সালের একটি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানো হতে পারে। তাই বলে মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই কিন্তু থামালে চলবে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকার এখন ভুয়ো খবর ঠেকাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। তবে এসব পদক্ষেপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি হবে, তা বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে।

ফেক নিউজ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এডেলম্যান ট্রাস্ট ব্যারোমিটারের বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে, ফেসবুক ও গুগলের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে পাওয়া সংবাদে মানুষের আস্থা সবচেয়ে কম। এরই মধ্যে গুগল ও ফেসবুক জানিয়ে দিয়েছে, ভুয়ো খবর ঠেকাতে জোরকদমে পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#fake News, #Fact Check, #Fake News Spread

আরো দেখুন