মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগেও স্ট্যাম্প ডিউটি আরোপ কেন্দ্রের
আজ, ১ জুলাই থেকে শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনিট-লিংকড ইনসিওরেন্স প্ল্যান, এপিএস প্রভৃতি কেনার খরচ বাড়বে। শেয়ার-ঋণপত্র সব বিভিন্ন ধরনের আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ০.০০৫ শতাংশ থেকে ০.০১৫ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি আরোপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এতদিন স্ট্যাম্প ডিউটি কেবল রাজ্য সরকারগুলির এক্তিয়ারভুক্ত ছিল এবং সাধারণ মানুষকে মূলত জমি-বাড়ি কেনার পর ওই সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হতো। বুধবার থেকে বিভিন্ন ধরনের লগ্নির ক্ষেত্রেও ওই স্ট্যাম্প ডিউটি বলবৎ হচ্ছে এবং লগ্নি মূল্যের সামান্য শতাংশ হলেও বিনিয়োগকারীদের ওই শুল্ক দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
উল্লেখ্য, ১৮৯৯ সালে প্রণীত ইন্ডিয়ান স্ট্যাম্প অ্যাক্টের সংশোধন করে শেয়ার-ঋণপত্র প্রভৃতি আর্থিক লগ্নির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্ট্যাম্প ডিউটি নেওয়ার বিধি ২০১৯ সালের ফিনান্স অ্যাক্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে এ বছর ৯ জানুয়ারি ওই স্ট্যাম্প ডিউটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পরে তা পিছিয়ে ১ এপ্রিল এবং তারপর আরও পিছিয়ে ১ জুলাই করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল মিউচুয়াল ফান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে লগ্নি করার সময়, লগ্নি বিক্রির সময় নয়। তাই, দু’-তিন মাসের কথা ভেবে যাঁরা জন্য লগ্নি করবেন, তাঁর ওই লগ্নি থেকে রিটার্ন অনেক কমে যাবে। তবে, দীর্ঘমেয়াদি লগ্নিকারীদের জন্য এই এককালীন স্ট্যাম্প ডিউটি ততটা সমস্যা তৈরি করবে না।’ তবে, যেহেতু এই স্ট্যাম্প ডিউটি লগ্নিমূল্যের শতাংশ হিসাবে আদায় করা হবে, তাই লগ্নির পরিমাণ যত বেশি হবে স্ট্যাম্প ডিউটির অঙ্কও তত বেশি হবে।
এই স্ট্যাম্প ডিউটি শেয়ার, ঋণপত্র, বিদেশি মুদ্রা প্রভৃতি সবধরনের ‘ফিনান্সিয়াল সিকিওরিটিজ’-এর লগ্নির ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে এবং এই শুল্কের প্রভাব পড়বে আপনার সব ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনিট-লিংকড ইনসিওরেন্স, এনপিএস, প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রভৃতি লগ্নির উপরও।