আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

দাদাভাই নৌরজির স্মৃতি বিজড়িত ওয়াশিংটন হাউসকে ‘ব্লু প্ল্যাক’ সম্মান প্রদান ব্রিটেনের

August 14, 2022 | < 1 min read

বেনিয়ায় ছদ্মবেশে ব্রিটিশরা এসে এদেশের শাসক হয়ে বসেছিল। ক্রমাগত আর্থিক শোষণে রুগ্ন হয়ে পড়েছিল সোনার ভারত। সেই কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন দাদাভাই নৌরজি। দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান অব ইন্ডিয়া নিজের লেখা ‘পভার্টি অ্যান্ড আন-ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া’-বইতে তুলে ধরেন শাসক ব্রিটিশের আসল চেহারা। তাঁর সম্পদের নির্গমন তত্ত্বই পরাধীন ভারতের জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করেছিল। যেখানে এই ঐতিহাসিক বইয়ের জন্ম, সেই ভবনকেই ‘ব্লু প্ল্যাক’ দিয়ে সম্মানিত করল ব্রিটেন।

ভারত থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে যাচ্ছিল ব্রিটেন, ভারতীয়দের সম্পদে ফুলেফেঁপে উঠছে ব্রিটেন। আর অন্যদিকে, কাঙাল হয়ে যাচ্ছিল আমাদের মাতৃভূমি, আর্থিক শোষণের জীবন্ত দলিল হয়ে উঠেছিল দাদাভাই নৌরজির লেখা ‘পভার্টি অ্যান্ড আন-ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া’। বইটি লন্ডনের ওয়াশিংটন হাউসে বসে লেখা হয়েছিল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে ১০ আগস্ট সেই লন্ডনের ওয়াশিংটন হাউসেকে ‘ব্লু প্ল্যাক’ দিয়ে সম্মানিত করল ব্রিটেন। 

প্রসঙ্গত, ইংলিশ হেরিটেজ চ্যারিটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিকে ব্লু প্ল্যাক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। দাদাভাই নৌরজির বাসভবনকেও সম্মানিত করা হয়। তিনি ইংল্যান্ডে প্রায় তিনদশক ছিলেন। ১৮৯৭ সালের আগস্টে ওয়াশিংটন হাউসে উঠে আসেন দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান অব ইন্ডিয়া। ওই বাড়িতে তিনি প্রায় আট বছর ছিলেন। মুম্বইয়ের এক পার্সি পরিবারের তাঁর জন্ম হয়েছিল। ব্রিটেনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি।​ ১৮৯২ সালে সাধারণ নির্বাচনে নর্থ লন্ডন কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ​​​তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয়, যে ব্রিটিশ সংসদের সদস্য হয়েছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#dadabhai naoroji, #London

আরো দেখুন