ডাহা ফেল মোদী সরকার, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে আম জনতার ক্রয়প্রবণতা
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ব্যর্থ মোদী সরকার। গগণচুম্বী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, মূল্যবৃদ্ধি একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ডাহা ফেল মোদী সরকার। আগস্ট মাসের মূল্যবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়ে ফের ৭ শতাংশ স্পর্শ করেছে। কিন্তু অর্থনীতির চাকা ঘোরাচ্ছে আম জনতা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে সাধারণ মানুষ। ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রক তরফে প্রকাশিত মাসিক ইকনমিক রিভিউ রিপোর্টে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
মোদী সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোনও উদ্যোগে নয়, আম জনতার ক্রয়প্রবণতা দেশজুড়ে আর্থিক লেনদেনকে সচল রেখেছে। উৎসবের মরশুম তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইকনমিক রিভিউ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কয়েকমাসের মধ্যে আরও উর্ধ্বমুখী হবে। নেপথ্যে সেই আম জনতাই। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধির হার আশাব্যাঞ্জক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, চলতি অর্থ বছর ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ হতে পারে। চলতি বছর আশাতীত রাজস্ব আদায় করেছে মোদী সরকার। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় মোদী কোষাগার ফুলেফেঁপে উঠেছে। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের ক্রয় প্রবণতা বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে অর্থনীতিকে। অর্থমন্ত্রক বলছে, এই জোড়া কারণে সচল ভারতীয় অর্থনীতি।
তবে রিপোর্টে শঙ্কা থাকছেই। এখনও কোর সেক্টরের মূল্যবৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ। বৃষ্টির ঘাটতির কারণে খরিফ মরশুমের চাষ ধাক্কা খেয়েছে, সেই কারণে কৃষি পণ্যের উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দামও বাড়ছে। যা মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম এক কারণ। ফলত আশঙ্কা থাকছে, জিডিপি বৃদ্ধিহারে এর প্রভাব পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলিও আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে জিডিপি হার বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা আগে বলেছিল, তা তারা এখন আর বলছেন না। কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কারণে বাণিজ্যে আর্থিক লেনদেন বাড়ছে, চাহিদা বজায় থাকছে। অর্থমন্ত্রক বলছে, ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার ও মানুষের কেনাকাটা অর্থনীতিকে আলো দেখাচ্ছে। উৎসবের মরশুমে আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই আম জনতার এই প্রবণতা বজায় থাকলে, ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে অর্থনীতি।