নিউজিল্যান্ডের বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ শ্রীলঙ্কার, ম্যাচ হারল ৬৫ রানে
শনিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড। ২০ ওভার ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করে ১৬৭ রান। এই রান তারা করতে গিয়ে ১৯.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায়।
যদিও নিউজিল্যান্ডের শুরুটা এদিন খুব একটা ভাল ছিল না। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ বলেই ফিন অ্যালেনকে (১) হারায় নিউজিল্যান্ড। খানিক পর ডেভন কনওয়েও (১) হন তার সঙ্গী। বিপদের ওই সময় অধিনায়ক উইলিয়ামসন সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়বেন কী, উল্টো মাত্র ৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে!
চার নম্বরে ব্যাট করতে আসা ফিলিপস শুরুতে দেখেশুনে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ফিলিপস। চাপের মধ্যে অসাধারণ ব্যাট করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি করে নেন। ৬২ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। অবশ্য ১২ রানেই বিদায় নিতে পারতেন এই ডানহাতি ব্যাটার, যদি ভানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে পাথুম নিসানকা সহজ ক্যাচটি তালুতে নিতে পারতেন। ফিলিপস আরেকবার বেঁচে গিয়েছিলেন দাসুন শানাকা ক্যাচ নিতে না পারায়। শেষ পর্যন্ত ফিলিপস ৬৪ বলে ১০টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কায় ১০৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন।
ফিলিপসের পাশাপাশি ড্যারিল মিচেলের ২৪ বলে ২২ রানের ইনিংসটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এদিনের ম্যাচে।
এদিনের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার কাসুন রাজিথা। এই পেসার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। আর একটি করে উইকেট পান মাহিশ থিকশানা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও লাহিরু কুমারা।
গ্লেন ফিলিপসের অসাধারণ সেঞ্চুরির পর জ্বলে উঠলেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। তাতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা করলেন আসা-যাওয়া। বল হাতে ট্রেন্ট বোল্টের বেঁধে দেওয়া সুরটা মিলিয়ে মিচেল স্যান্টনার-ইশ সোধিরা গুঁড়িয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন-আপ। সেখান থেকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ভানুকা রাজাপাকশে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন শানাকা। আর ভানুকার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।
বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন বোল্ট। এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট নিয়েছেন স্যান্টনার ও সোধি।