বিজেপি সাংসদ, WFI সভাপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার গুরুতর অভিযোগ ভিনেশ ফোগাটদের
কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট ‘রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া’র (WFI) সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শর্মার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। মহিলা কুস্তিগিরদের দিনের পর দিন ধরে যৌন হেনস্তা করেছেন জাতীয় কোচ ও ফেডারেশনের কর্তারা—বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাট।
বজরং পুনিয়া, সঙ্গীতা ফোগাট, সোনম মালিক, আংশু মালিকদের মতো দেশের শীর্ষ ৩১ জন কুস্তিগীর ফেডারেশনের কার্যপ্রণালীর বিরুদ্ধে যন্তর মন্তরের সামনে বসে প্রতিবাদ করেছেন।
সেখানে ভিনেশ ফোগাট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মহিলা কুস্তিগীরদে জাতীয় শিবিরে প্রশিক্ষক এবং WFI-র সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ শর্মা যৌন হয়রানি করেছেন।‘’
তাঁর আরও অভিযোগ, “জাতীয় ক্যাম্পে নিযুক্ত কয়েকজন প্রশিক্ষক বছরের পর বছর ধরে মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানি করে আসছেন। WFI সভাপতিও এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত। অনেক তরুণ মহিলা কুস্তিগীর জাতীয় শিবিরে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন এবং কেঁদেছেন।”
আগের দিন, ভিনেশ একটি টুইটে ফেডারেশনের নিন্দা করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে সমস্ত প্রচেষ্টা করা সত্ত্বেও কুস্তিগীররা কারও সমর্থন পাচ্ছেন না। ভিনেশের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারপর সমস্যা সমাধান হওয়া দূর, তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বিজেপি সাংসদ তথা ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকলে মিলে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক জয়ী বজরং পুনিয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআই’কে বলেছেন, ‘‘এটি শেষ করার লড়াই।’’ তার কোচ সুজিত মান এবং ফিজিও আনন্দ দুবে-সহ বজরং-এর সাপোর্ট স্টাফরাও এদিন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।
ব্রিজ ভূষণ শরণ শর্মা ২০১১ সাল থেকে কুস্তি ফেডারেশনের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ টানা তৃতীয়বারের জন্য WFI-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। উত্তরপ্রদেশের কাইজারগঞ্জ থেকে বিজেপি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ভিনেশের দাবি, “আমরা যখন অলিম্পিকে গিয়েছিলাম, আমাদের সঙ্গে কোচ বা ফিজিও কেউই ছিলেন না। কিন্তু নিজেদের দাবির কথা জানালেই আমাদের মুখ বন্ধ করতে হুমকি দেওয়া হত।”
দিল্লি মহিলা কমিশনের (DCW) প্রধান স্বাতি মালিওয়াল মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের সমর্থন জানাতে যন্তর মন্তরে আসেন। তিনি বলেন, আমি বিষ্মিত, যে মহিলারা ভারতকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তাঁদেরকেই এখন বিচার চাইতে যন্তর মন্তরে সমবেত হতে হচ্ছে! এটা লজ্জাজনক।