হেমতাবাদের বিধায়ক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আরজি খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আরজি পত্রপাঠ খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তদন্তভার সিআইডি’র হাতেই রাখার নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের তরফে। ফলে প্রাথমিক স্তরেই ধাক্কা খেল বিজেপি এবং নিহতের পরিবারের আবেদন।
স্বামীর মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়। সোমবার মামলার জরুরি ভিত্তিক শুনানিতে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ চাঁদিমাদেবীর সেই আবেদন খারিজ করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা তথা সিআইডি’র হাতেই তদন্তভার ছেড়েছেন। যদিও বিচারপতি প্রসাদের নির্দেশ, দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ময়নাতদন্ত নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক (Forensic) বিভাগের প্রধানের কাছ থেকে এডিজি, সিআইডি’কে দ্বিতীয়বার মতামত নিতে হবে। ১৪ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে তাঁকে আদালতে একটি রিপোর্টও জমা দিতে হবে। তবে এই মামলা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য বিজেপি।
গত ১৩ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে চায়ের দোকানে হাত বাঁধা অবস্থায় হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে এখনও রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথবাবু ২০১৬’র নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে জিতেছিলেন। বছর খানেক আগে তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির অভিযোগ, বিধায়ককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার মামলার শুনানিতে, বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমাদেবীর আইনজীবী ব্রজেশ ঝা দাবি করেন, এই মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের আগেই তাকে আত্মহত্যা বলে জানান রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার-সহ রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা। ফলে সংগত কারণেই পুলিশি তদন্তে সত্য উদঘাটনের সম্ভাবনা কম। এই মৃত্যুরহস্য ভেদে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার দেওয়া হোক।
রাজ্যের তরফে পালটা জানানো হয়, ইতিমধ্যেই দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রয়াত বিধায়কের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে দাবি করেন বিপক্ষের আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে সিআইডি তদন্তেই সিলমোহর দেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ।