লক্ষ্য স্পেশাল অলিম্পিক, বীরভূম থেকে বার্লিনে পাড়ি ১১জন তরুণ-তরুণীর
আরেক ফুটবলার বছর ২৫-এর সোনালি হেমব্রমের বাবা বিমল হেমব্রম সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বীরভূম জেলা থেকে ১১জন তরুণ-তরুণী জার্মানির বার্লিনে পাড়ি দিতে চলেছেন স্পেশাল অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে। আগামী ১৪-২৯জুন বার্লিনের মাটিতে স্পেশাল অলিম্পিকের আসর বসবে। তাঁরা ফুটবল, ভলিবল ও হ্যান্ডবল খেলায় অংশগ্রহণ করবেন।
গুজরাত, দিল্লিসহ বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের খেলোয়াড়দের বাছা হয়েছে। ১৮জনের ফুটবল দলে বীরভূমের তিন যুবতী স্থান পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, তিনজনই সিউড়ির নগরী গ্রাম সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। গতবারের খেলোয়াড় পাপিয়া মুর্মু সঙ্গে এবার নতুন যাচ্ছেন ইতি মাল ও সোনালি হেমব্রম। নগরী গ্রামের ১৯ বছরের ইতি মালের বাবা সন্তোষ মাল ফুচকার দোকান চালান। অদ্যাবধি মেয়েকে কোনও ফুটবল কিনে দিতে পারেননি তিনি। অন্যের ফুটবল নিয়ে খেলেই ইতি সাফল্য পেয়েছেন। আজও অন্যের ফুটবলেই প্রশিক্ষণ সারছেন ইতি। আরেক ফুটবলার বছর ২৫-এর সোনালি হেমব্রমের বাবা বিমল হেমব্রম সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। এবার বার্লিনে পাড়ি দিচ্ছেন সোনালি। সিউড়ির জুনিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ২৭ বছরের যুবক আব্দুল কাদের পুরুষ ফুটবল দলের হয়ে বার্লিন যাচ্ছেন।
সিউড়ির পাঁচজন অংশ নিচ্ছেন ভলিবলে। তাঁরা হলেন, সিউড়ি ফকিরপাড়ার বাসিন্দা মনিরা সুলতানা, একই এলাকার পূর্ণতি সাঙ্গুই, সিউড়ি সোনাতোরপাড়ার বাসিন্দা রাজশ্রী সিনহা, কেন্দুয়া দাসপাড়ার বাসিন্দা রিয়া রায় এবং পুরুষ দলে রয়েছেন সিউড়ির সায়ন দত্ত। হ্যান্ডবলে অংশগ্রহণ করবেন সিউড়ি হাটজনবাজারের বাসিন্দা ১৮ বছরের অঞ্জলি মণ্ডল ও সিউড়ি ডাঙালপাড়ার বাসিন্দা বছর সতেরোর সানিয়া খাতুন।
খেলোয়াড়দের সাফল্য কামনা করে রাজ্য স্পেশাল অলিম্পিকের স্পোর্টস ডিরেক্টর শুকদেব চক্রবর্তীর কথায়, জেলা থেকে তরুণ-তরুণীরা আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, এটা খুবই খুশির খবর। খেলোয়াড়দের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।