পঞ্চায়েত ভোটে ২০২৩-র পুনর্নির্বাচনের ফলে এগিয়ে বামেরা? জেনে নিন আসল তথ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চলতি বছর গ্রাম বাংলার লড়াই অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচন রীতিমতো নজির গড়েছে, মামলায় মামলায় জর্জরিত করেছেন বিরোধীরা। তাতে কলকাতা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আদালতকে ব্যবহারের প্রচেষ্টা। টিএস শিবজ্ঞানম বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এত মামলা! প্রত্যেকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে আদালতকে ব্যবহার করে হেডলাইনে আসতে চাইছে। দয়া করে আদালতকে মাধ্যম করবেন না।’ এটা ছিল ভোটের আগের ছবি। ভোট মিটেছে, কিছু জায়গায় পুনর্নির্বাচনও হয়েছে। এবার পুনর্নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে বামেদের দাবি, তারাই রয়েছে পয়লা নম্বরে।
দাবি: বিগত দু’দিন ধরে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি পোস্টার। তাতে পুনর্নির্বাচনের ফলাফল রয়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটে যে ৬৯৬টি আসনে পুনর্নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ৩৮০টিতে জিতেছে বামেরা। কংগ্রেস জিতেছে ১২২টি আসনে। আর বিজেপি ৯১টি আসনে জিতেছে। ওই পোস্টে আরও দাবি করা হয়েছে, পুনর্নির্বাচনে মাত্র ৬৫টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। বাম নেতা, কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি বাম বুদ্ধিজীবী এবং আপাত তরুণ বাম ইউটিউবার নেতার বন্ধুবান্ধবরাও এই পোস্ট করছেন। বামপন্থার সমর্থক হিসেবে পরিচিত সমাজের কয়েকজন পরিচিত মুখদের দিয়েও পোস্টটি করানো হয়েছে। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকেও নিশানা করছেন পোস্টদাতারা, দাবি কেন কোনও মিডিয়া এই ফল দেখাচ্ছে না!
আসল সত্য: সোমবার, ১৭ জুলাই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো ওই ভাইরাল পোস্ট এবং বামেদের দাবি দুটোই ভুয়ো। কমিশন সাফ জানিয়েছে তথ্যটি মিথ্যে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পুনর্নির্বাচনের ৭৬২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৭০টি আসনে জয় পেয়েছে। উল্লেখ্য, ৬৬টি আসন হল ডবল সিট। (৬৯৬+৬৬ = ৭৬২)
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি, ১০৩টি আসন জিতেছে তারা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। তারা ৯১টি আসনে জিতেছে। বামেরা হয়েছে চতুর্থ। তারা জয় পেয়েছে ৬২টি আসনে। ২৬টি আসনে জিতেছে নির্দলরা। অন্যান্যরা জিতেছে ১০টি আসনে।
সাফ বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকতেই মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে বামেরা। সমাজ মাধ্যমকে হাতিয়ার করে তারা ভুয়ো খবর ছড়িয়ে বাংলার মাটিতে রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক থাকতে চাইছে।