চব্বিশের আগে বঙ্গ BJP-তে দিলীপকে দিয়ে ছাঁটাই শুরু? তালিকায় আরও কারা?

কেন্দ্রীয় পদাধিকারী ৩৮ জনের নয়া টিম তৈরি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

July 31, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমে করা হল সাংগঠনিক নেতৃ্ত্বের রদবদল। কেন্দ্রীয় পদাধিকারী ৩৮ জনের নয়া টিম তৈরি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই তালিকা অনুসারে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ খোয়ালেন দিলীপ ঘোষ।

জানা গেছে, সেই তালিকায় যাঁদের নাম আছে সম্ভবত তাঁদের বেশিরভাগ লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাবেন না। তবে এ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে বিজেপির অন্দরে। সূত্রের খবর, টিমে না থাকলেও বাংলা থেকে দুই সাংসদ এবার বাদ পড়তে পারেন।

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদকে বাদ দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষের সাফাই ‘যাঁরা লোকসভা ভোটে লড়বেন, তাঁদের সবাইকে নিজের এলাকায় কাজ করতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

নাড্ডার নয়া টিমে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সুনীল বনসলের মতো নেতারাও। তালিকায় দলের সচিব হিসেবে বাংলা থেকে একমাত্র স্থান পেয়েছেন অনুপম হাজরা। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি দলের প্রার্থী হয়েও হেরে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, আজ সোমবার থেকে পর্যায়ক্রমে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। পরবর্তী ধাপে ডাক পেতে পারে বঙ্গ বিজেপির সাংসদরাও।

বাংলায় রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের কার্যকালে উত্থান হয়েছে বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জিতে রেকর্ড গড়ে তারা। দলবদল করেছিলেন দু’জন সাংসদ। সূত্রের খবর, বর্তমান ১৬ জন দলীয় সাংসদের মধ্যে অন্তত ১৪ জন টিকিট পেতে পারেন। ঝাড়গ্রাম ও দার্জিলিংয়ের দুই সাংসদ টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে লোকসভায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নির্ণয় করবে বিজেপির জাতীয় সংসদীয় কমিটি। এই কমিটির অন্যতম সদস্য নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, লোকসভা আসন অনুযায়ী বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থা, দল, কেন্দ্রীয় সরকার, অমিত শাহের নিজস্ব টিম দিয়ে একাধিক পর্যায়ে সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

দলীয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বিজেপির রিপোর্ট কার্ড অনুযায়ী ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার স্থান নাকি সর্ব নিম্নে। পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাতর রেকর্ডও নাকি খুব একটা ভালো নয়। রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থেকেও বাঁকুড়ায় কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে নাকি ব্যর্থ হয়েছেন সুভাষ সরকার। বিজেপির অন্দর মহলের খবর অনুসারে, আগামী কয়েক মাসে ফের বঙ্গ বিজেপির প্রচুর নেতার নাম কাটছাঁট হতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen