সংকীর্তন প্রিয় পলাশডাঙার বড়মা, কীভবে হয়েছিল এই পুজোর প্রচলন?

দেবীর সংকীর্তন পছন্দ করেন বলে ভক্তরা তাঁকে বৈষ্ণব কালীও বলে থাকেন। তাদের বিশ্বাস, প্রতিদিন দুপুর হলেই গোটা মন্দিরের সমনের চত্বরটা ধূপ-ধুনোর গন্ধে ভরে যেত।

August 28, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পলাশডাঙার বড়মা। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। তিনি সংকীর্তন শুনতে বেশ ভালোবাসেন। ভক্তদের দাবি, সংকীর্তনের সময় দেবী স্বয়ং আবির্ভূত হয়েছিলেন। সংকীর্তন বন্ধ হলেই নাকি দেবীর হাত কাটা অবস্থায় পড়ে থাকত মন্দিরের সামনে। দেবীর সংকীর্তন পছন্দ করেন বলে ভক্তরা তাঁকে বৈষ্ণব কালীও বলে থাকেন। তাদের বিশ্বাস, প্রতিদিন দুপুর হলেই গোটা মন্দিরের সমনের চত্বরটা ধূপ-ধুনোর গন্ধে ভরে যেত।

এই পুজোর সূচনা কিভাবে হয়েছিল? তা ছড়িয়ে রয়েছে এক অলৌকিক কাহিনি। অনেক বছর আগে মন্দিরের পাশেই অবস্থিত ছিল বিরাট এক অশ্বত্থ গাছ। আর তার ঠিক পাশেই ছিল পঞ্চমুণ্ডির আসন। কাছেই নদী। তার ঘাটের উদ্দেশ্যে একবার সেবায়েত পরিবারের একজন যাচ্ছিলেন। সেই সময় দেখেন কাছেই এক জায়গা থেকে আসছে ধূপ-ধুনোর গন্ধ। হঠাৎ এক কাপালিক এসে ওই ব্যক্তির সামনে দাঁড়ায়। তাঁর হাতে দেবীর মূর্তিটি দেন। আর, দেবীকে পূজা করার আদেশ দেন। আচমকা এই ঘটনায় ওই ব্যক্তি বিস্মিত হয়ে যান, তারপরেই দেখেন ঐ কাপালিক কোথাও যেন উধাও হয়ে গেছেন।

ভক্তদের কাছে এই দেবী আজ‌ও জীবন্ত বড়মা। তাদের বিশ্বাস, বড়মার কাছে প্রার্থনা করলে তিনি খালি হাতে ফেরান না। তিনি সব মনস্কামনা পূরণ করেন। এই মন্দিরে যেতে হলে প্রথমে দুর্গাপুর স্টেশনে যেতে হবে। সেখান থেকে ধরতে হবে বিষ্ণুপুরগামী বাস। সেই বাসে চেপেই নামতে হবে পলাশডাঙা গ্রামে। বাসস্ট্যান্ড থেকে হেঁটে বা টোটোয় চেপে যাওয়া যাবে দেবীর মন্দিরে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen