কেমন হল দক্ষিণের দুই বিখ্যাত পুজো ত্রিধারা ও দেশপ্রিয় পার্কের প্যান্ডেল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সেরা দুই পুজো হল ত্রিধারা সম্মিলনী ও দেশপ্রিয় পার্ক। প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে যেতে একদমই রাজি নয় ত্রিধারা সম্মিলনী। মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে আসা দর্শকদেরই ‘প্রকৃত ঠাকুর’ বলছেন ত্রিধারার উদ্যোগক্তারা। থিম নয়, আনন্দময় পরিবেশে উৎসব উদযাপনে মেতেছেন তারা।
দক্ষিণ কলকাতায় যাঁরা প্যান্ডেল হপিংয়ে আসেন, তাঁদের অন্যতম ডেস্টিনেশন ত্রিধারা। ৭৭তম বর্ষে তাদের আয়োজন, ‘উৎসব যাদের তরে, আগে তারা, প্রাইজ পরে।’ সূক্ষ্ম কারুকার্য আর রঙের ব্যবহারে অনাবিল ছবিকে তারা তুলে ধরেছেন মণ্ডপে। অনুকরণ নয়, শিল্পীর চিন্তাভাবনায় ফুটে উঠতে চলেছে মণ্ডপ। আজকাল থিমের প্যাঁচে মানুষকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কোথাও কোথাও গিয়ে ভাবতে হয়, এটা আবার কী থিম? ত্রিধারায় সেই বালাই নেই। উদ্যোগক্তাদের বক্তব্য, ত্রিধারার পুজোয় মনের স্নিগ্ধতা মিলবে।
দেশপ্রিয় পার্ক ৮৬তম বছরে আলোর আবেশে মাতাতে চলছে। মণ্ডপে ঔজ্জ্বল্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। আলোর মায়াবী খেলায় মণ্ডপ ও তার আশপাশ রঙিন হয়ে উঠবে। দুর্গা প্রতিমায় রূপ দিয়েছেন শিল্পী প্রদীপ রুদ্র পাল। দর্শক টানার দৌড়ে বরাবর প্রথম তালিকাতেই থেকেছে দেশপ্রিয় পার্ক। এবারেও ‘জ্যোতি’র আকর্ষণে সবাই ছুটে আসবেন বলেই আশাবাদী কর্মকর্তারা। আলোর দায়িত্বে দীনেশ পোদ্দার, সঙ্গে শিল্পী গোবিন্দ গিরির ভাবনায় সেজে উঠছে পুজো। মাঠের গোটা পরিসর জুড়ে আলোর উপস্থাপনা। তবে, আলোর উৎস দেখা যাবে না। পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তারা বলছেন, আঁধারের মধ্যে কেউ থাকতে চায় না, সবাই আলোর খোঁজ করে। আলোর ছটায় আরও সুন্দর পৃথিবীর দিকে এগিয়ে চলার বার্তাই দেবে তাদের মণ্ডপ।