স্বাধীনতা দিবসে ভালবাসার টানে দেখা হল সৃজিত-মিথিলার
৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন পদ্মাপারের কন্যা মিথিলাকে (Rafiath Rashid Mithila) বিয়ে করে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন সৃজিত। মুসলিম মেয়ে হিন্দু ঘরের বউমা, যে কারণে একাধিকবার কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছে মিথিলাকে। কর্ণপাত করেননি কোনও দিনই। ভালবাসার জোরেই যাবতীয় সমালোচনাকে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছেন সৃজিত-মিথিলা। আজ আরও একবার সেই ভালবাসার গাথা তুলে ধরলেন জনসমক্ষে। সীমান্ত, কাঁটাতার পেরিয়ে স্বাধীনতা দিবসে অবশেষে দেখা হল দম্পতির।
অবশেষে সাড়ে পাঁচ মাস পর মিথিলাকে কাছ থেকে দেখল সৃজিত। ভালবাসাই মিলিয়ে দিল তারকা দম্পতিকে। লকডাউনে পদ্মাপারে আটকে পড়েছিলেন স্ত্রী মিথিলা। সঙ্গে ছিল মেয়ে আইরাও। ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ‘কাকাবাবু প্রত্যাবর্তন’-এর শুটিং থেকে ফিরে এযাবৎকাল গৃহবন্দি ছিলেন সৃজিতও। মাসের পর মাস দেখা হয়নি। বিরহেই কাটছিল। অবশেষে ১৫ আগস্ট সীমান্ত পাড়ে দেখা হল দুজনের। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে শ্বশুরবাড়ির দেশে চলে এলেন অভিনেত্রী, সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। আর এখবর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করে সৃজিত ক্যাপশনও বেঁধেছেন খাসা। লিখলেন, ”১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট হিংসা-হানাহানির কারণে অনেককেই সীমান্ত পার হতে হয়েছিল। আর ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট ভালোবাসার জন্য দুজন ফের দেশের সীমানা পার করলেন।”
পেট্রাপোল সীমান্তে মিথিলা এবং মেয়ে আইরার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন সৃজিত। সংশ্লিষ্ট এই পোস্টের সঙ্গে সেগুলো জুড়ে দিয়েছেন। শনিবার সকালে প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন মেনেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন রাফিয়াৎ রশিদ মিথিলা ও তাঁর মেয়ে আইরা তাহরিম খান। সৃজিত তাঁদের গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য পৌঁছন।
প্রসঙ্গত করোনা আবহে দেশ আনলক হলেও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল এখনও বন্ধ। সেই কারণেই এতদিন মিথিলার এদেশে আসা সম্ভব হয়নি। সৃজিতও বাংলাদেশে যেতে পারেননি। তাই অবশেষে ১৫ আগস্ট সীমান্ত পারেই দেখা হল সৃজিত-মিথিলার। দীর্ঘ কয়েক মাস পর ভারতে এলেন মিথিলা। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মেয়ে আইরাকেও নাকি কলকাতার এক নামী স্কুলে ভরতি করিয়েছেন সৃজিত। তাই আপাতত মায়ের সঙ্গে আইরাও এদেশেই থাকবেন।