গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার শিরোপা দেওয়া হচ্ছে না কেন? উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: পূণ্যার্থীদের সমাগমে যাবতীয় রেকর্ড ছাপিয়ে গেল এবারের গঙ্গাসাগর মেলা। মকর সংক্রান্তিতে সাগরে এক কোটি পূণ্যার্থীদের সমাগম হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। যা এই মেলার ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড। গতবার মেলায় ৮০ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান করে গিয়েছিলেন।
রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নানের সময় শুরু হয়েছে। কিন্তু রাতে সাগরে জোয়ার থাকার কারণে কাউকেই ওই সময়ে সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি। সোমবার ভোর ৩টে থেকে শুরু হয়েছে স্নান। পুণ্যলগ্ন চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। স্নান শুরু হতেই গঙ্গাসাগরে মানুষের ঢল। ভোর থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীদের দখলে চলে গিয়েছে গোটা সাগরতট। জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গানবাজনার সঙ্গেই প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মানুষকে। ভোর থেকেই ভক্তিমূলক গান বেজেছে সমুদ্রতটের আশপাশে। ভিড় এড়াতে ভোর ভোর স্নান সেরে কেউ মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। কেউ আবার সাগরে দাঁড়িয়ে সেরেছেন সূর্যপ্রণাম। কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা জলে ডুব দেন সবাই। এক, চার, পাঁচ এবং ছ’নম্বর বিচে কালো মাথার থিকথিকে ভিড় দেখা দেয়। কুয়াশার দাপট এতটাই যে, ১০০ মিটার দূর পর্যন্ত কিছুই দেখা যায়নি।
এত লোকসমাগম হওয়া সত্ত্বেও কেন গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার শিরোপা দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘সাগর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এরপরও কেন এটিকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া হবে না?’